#মালদহ: ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনের কবলে মালদহের বৈষ্ণবনগরের চিনা বাজার। গঙ্গার গ্রাসে অন্তত দেড়শো বাড়ি। ৫০০ মিটার এলাকা জুড়ে বিধ্বংসী ভাঙনে সর্বস্ব খুইয়ে এখন খোলা আকাশের নীচে হাজারো মানুষ। চার বছর পর এমন ভয়াবহ ভাঙনের সাক্ষী বৈষ্ণবনগর। এত তীব্র ভাঙন সাম্প্রতিক কালে হয়নি মালদহে। মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘন্টার ভাঙনে নদী গর্ভে অসংখ্য কাঁচা-পাকা বাড়ি, আস্ত গাছ, বিদ্যুৎ খুটি। চোখের সামনে ভাঙনে সব তলিয়ে যেতে দেখলেও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র প্রায় কিছুই সরাতে পারেনি অধিকাংশ পরিবার।
মালদহের বৈষ্ণবনগরের বীরনগর ১ পঞ্চায়েতের চিনা বাজার এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়। প্রথমে গঙ্গা আঘাত হানে এলাকার নদী বাঁধে। এরপর বাঁধ ধসিয়ে নদী ধেয়ে আসে লোকালয়ের দিকে। প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা জুড়ে কার্যতঃ সব কিছুই শেষ হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, অন্তত দেড়শো বাড়ি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। আরও প্রায় ৫০ টি বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জিনিসপত্র সরানোর কোনও প্রস্তুতিই ছিল না নদী পারের মানুষের। ফলে চোখের সামনেই বাড়ি ঘর, আসবাবপত্র মূল্যবান সামগ্রী চলে যায় নদী গর্ভে। এমন ভাঙন হতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেননি বলছেন নদী পারের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ।
২০১৬ সালে চিনা বাজারের ঠিক পাশেই সরকারটোলা গ্রামে এমনই নদী ভাঙন হয়েছিল। চিনা বাজারে এবার যে এলাকায় ভাঙন হয়েছে তার ভাঙন রোধের দায়িত্বে ফরাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষ। আচমকা এমন বিধ্বংসী ভাঙনের জন্য ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকেই দায়ি করেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, একদিকে ভাঙন রোধের কাজ ঠিকঠাক হয়নি। অন্যদিকে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ব্যারেজের গেট গুলি কয়েকদিন বন্ধ রাখার পর এক সঙ্গে জল বেড়ে যাওয়ায় সেগুলি খুলে দেয়। এতেই আচমকা ভাঙনের ঘটনা হয়েছে।
চার বছর আগে সরকার টোলার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বৈষ্ণবনগরের বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকারের বাড়ি। এবার ফের গঙ্গা তাঁর নতুন বাড়ির দিকে এগিয়ে এসেছে। নতুন করে ভাঙনে বিজেপি বিধায়ক নিজেই আতঙ্কিত বলে স্বীকার করেছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: River erosion