#রায়গঞ্জ: করোনার কারণে এবার রায়গঞ্জ শিয়ালমণি জঙ্গলে বনভোজন বন্ধ করে দিল বনদফতর। বনদফতরের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে রায়গঞ্জের জনমানসে। বেশ কিছুদিন আগে রায়গঞ্জ কুলিক পক্ষীনিবাসে বড় দিন থেকে বনভোজন শুরু হত। পরিযায়ি পাখিদের অত্যাচারের জন্য সেখানে বনভোজন বন্ধ করে দেয় উত্তর দিনাজপুর জেলা বনদফতর। কুলিক পক্ষীনিবাসে বনভোজন বন্ধ হবার পর কুলিক পক্ষোনিবাস থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে শিয়ালমণি জঙ্গলে বনভোজন শুরু হয়। পানীয় সহ একাধিক অসুবিধা থাকা সত্বেও উৎসব প্রিয় বাঙালী সেই শিয়ালমণিতে বনভোজনে মেতে ওঠেছিল।
প্রতিবছর রায়গঞ্জ কুলিক নদীর ধারে শিয়ালমণি অরণ্যে বনভোজনে আসেন বহু মানুষ। এবার অতিমারি করোনার কারণেই সেই শিয়ালমণি অরণ্যে বন্ধ করে দেওয়া হল বনভোজন। রায়গঞ্জ ডিভিশনের বিভাগীয় বন আধিকারিক সোমনাথ সরকার জানিয়েছেন, অতিমারি করোনার কারণে এবছর কোথাও কোনও ভীড় জমিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে না। সংক্রমণ প্রতিরোধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শিয়ালমণি অরণ্যের সামনে এবছর বনভোজন না করার আবেদন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতি বছর ২৫ শে ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় হয় রায়গঞ্জ কুলিক পক্ষীনিবাস সংলগ্ন শিয়ালমণি অরণ্যে বনভোজন। প্রায় গোটা জানুয়ারি মাস ধরে শয়ে শয়ে বনভোজনের দল এসে ভিড় জমান রায়গঞ্জের শিয়ালমনি অরণ্যে। শুধু রায়গঞ্জ বা উত্তর দিনাজপুর জেলাই নয়, মালদা, বালুরঘাট এমনকি শিলিগুড়ি থেকে বহু মানুষ এখানে বনভোজন করতে আসেন। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা শিয়ালমণি অরণ্যে। বনভোজনকে কেন্দ্র করে শিয়ালমণি এলাকায় বেশকিছু মানুষের রুটি রুজির ব্যাবস্থাও হয়। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরটা একেবারেই অন্যরকম। অতিমারি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভিড় এড়াতে বন্ধ করে দেওয়া হল শিয়ালমণি অরণ্যে বনভোজন। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা থেকে সাধারণ মানুষের অভিযোগ করোনার কারণে পিকনিক করা বন্ধ করে দিয়েছে জেলা বনবিভাগ, অথচ সরকারি বেসরকারি নানান অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সভা সমাবেশ মিটিং মিছিল চলছে বিনা বাধাতেই। বছরের একটা দিন মানুষ পরিবার পরিজন আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে বনভোজনের মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ করেন সেটাও বন্ধ করে দিল প্রশাসন। ফলে পিকনিক বন্ধ করায় হতাশ ও ক্ষুদ্ধ হয়েছেন বাসিন্দারা।
উত্তর দিনাজপুর ডি এফ ও সোমনাথ সরকার জানিয়েছেন, অতিমারি করোনার কারণেই শিয়ালমণি অরণ্যে বনভোজন বন্ধ রাখা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই একটি পোষ্টার লাগানো হয়েছে। পিকনিক মানে হইহুল্লর আনন্দ। ডিজে বাজিয়ে নাঁচগান। যত্রতত্র খাবারে পাতা ফেলা হয়। এলাকার পরিবেশ দূষণ হয়। এই করোনার কারণে এই বনভোজন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।এলাকার বাসিন্দা গৌর শঙ্কর দাস জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যখন মিছিল মিটিং করছেন তখন তাদের বাধা দেওয়া হয় না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: COVID19, North bengal news