#শিলিগুড়ি: করোনা এবং লকডাউনের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছিল পর্যটন শিল্পে। মাসের পর মাস ঘরবন্দী ছিল গোটা দেশ। লকডাউন ঘোষণার আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের একাধীক পর্যটন কেন্দ্র। আনলক ওয়ান, টু, থ্রি'তেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি পর্যটন শিল্প। তারপর নিউ নর্মালে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করে পর্যটন। উত্তরের পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সে ক্রমেই বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই শীতের পাহাড় পর্যটকদের ভিড়ে থিক থিক করছে। পাহাড়ের বিভিন্ন হোম স্টেগুলোতে উপচে পড়ছে ভিড়। আসছে ভিন রাজ্যের পর্যটকেরাও।
বড় দিনে দীর্ঘ ন'মাস বন্ধ থাকার পর জয় রাইড চালু হয় পাহাড়ে। টিকিট পাওয়াই কার্যত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে পর্যটকদের কাছে। এবারে দেশজুড়েই পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে শিলিগুড়িতে আয়োজন করা হয় পর্যটন মেলার। তিন দিনের এই মেলায় যোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের স্টল। বাংলা ছাড়াও যোগ দিয়েছে হিমাচল প্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্রিশগড়ের পর্যটন দপ্তরের স্টল। এবারের পর্যটন মেলায় গ্রামীণ পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরাই লক্ষ্য। সেজন্যে পাহাড়ের হোম স্টে অ্যাসোসিয়েশনের স্টলও বসেছে।
নিউ নর্মালে কোভিড প্রোটোকল মেনেই পর্যটকদের বিভিন্ন রাজ্যে স্বাগত জানিয়েছে ট্যুর অপারেটার্স সহ বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটন দফতর। তাদের দাবি, এবারে অনায়াসেই বেড়াতে আসতে পারেন পর্যটকেরা। সেজন্য তৈরী পর্যটন দপ্তর থেকে ট্যুর অপারেটার্সরা। শুধু উত্তরেই নয়, বিভিন্ন রাজ্যেও গ্রামীন পর্যটন শিল্পকে ঢেলে সাজিয়ে তুলছে সংশ্লিষ্ট পর্যটন দপ্তর। এবারের মেলায় স্থানীয় শিল্পীদের তৈরী নানান হস্ত শিল্প এবং ঘর সাজানোর উপকরণের স্টলও বসেছে। করোনা এবং লকডাউনের পর দেশে এটাই প্রথম পর্যটন মেলা৷ পর্যটক থেকে ট্যুর অপারেটারদেরদের মনোবল চাঙ্গা করাই মূল উদ্দ্যেশ্য। লকডাউনে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। অনেকে আবার পেশা বদলও করেছেন। উদ্যোক্তাদের দাবী, এই ধরনের মেলার আয়োজন নতুন করে বাঁচিয়ে তুলবে পর্যটন শিল্পকে। পথ দেখাবে গোটা বিশ্বকে।
(পার্থপ্রতিম সরকার)