Sebak DebSarma
#মালদহ: বনধকে উপেক্ষা করেই দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস পর স্কুলের দরজা খুলল মালদহেও। বন্ধের দিনেও আজ মালদহের স্কুলগুলিতে পঞ্চাশ শতাংশের বেশি ছাত্র-ছাত্রী হাজিরার ছবি ধরা পড়েছে। মালদহের নামী দুই স্কুল বার্লো গার্লস হাইস্কুল এবং মালদহ জেলা স্কুলে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে নিরাপদ দূরত্বে রেখে হাত স্যানিটাইজ করে এবং থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষার পর স্কুলের ভেতরে ঢোকানো হয়েছে। প্রত্যেক ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বাড়তি শ্রেণিকক্ষ অর্থাৎ নতুন সেকশন করা হয়েছে। ক্লাস চলাকালীন মুখে মাক্স পড়েই চলছে পঠনপাঠন। প্রতি বেঞ্চে একজন করেই পড়ুয়ার বসার ব্যবস্থা হয়েছে। স্কুলে কোনও রকম ধাতব জিনিস সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়েছে।
অনেক ছাত্রছাত্রী ক্লাস চলাকালীন চুলে টুপিও ব্যবহার করছে। স্কুলের টিফিন অর্থাৎ বিরতিকেও একটি পিরিওড হিসেবে ধরা হচ্ছে। সেই সময়ও শ্রেণিকক্ষে থাকবেন শিক্ষক-শিক্ষিকা। যাতে কোনও অবস্থাতেই পড়ুয়ারা নিজেদের মধ্যে শারীরিকভাবে কাছাকাছি না চলে আসে। স্কুলে অভিভাবক এবং বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতবছর মার্চ মাসে কোভিড পরিস্থিতিতে কার্যত আচমকাই স্কুলগুলির দরজা বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ভার্চুয়াল ক্লাস শুরু হয়। কিন্ত, সরাসরি পাঠদান বন্ধই ছিল। বিভিন্ন মহল থেকে বারবারই স্কুলগুলি খোলার দাবি উঠেছিল। আজ স্কুলের দরজা খুলতেই বনধের মধ্যেই হাজির হয়ে যায় উৎসাহী ছাত্রছাত্রীরা । পড়ুয়াদের শরীরী ভাষায় স্পষ্ট স্কুল খোলায় কতটা খুশী তারা । ছাত্রছাত্রীরা জানায় এতদিন ভার্চুয়াল ক্লাসে সরাসরি পঠনপাঠন, বোর্ড ওয়ার্কের সুবিধে পাচ্ছিল না তারা। পাশাপাশি বিষয় সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্তরের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হচ্ছিল।
দীর্ঘদিন পর স্কুলের পঠন পাঠন চালু হওয়ায় ছাত্রীরা মানসিকভাবে আরও সতেজ এবং পড়াশোনার ব্যাপারে উৎসাহী হয়েছে। সব ধরনের সতর্কতা নিয়েই পঠন-পাঠন শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বার্লো গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপশ্রী মজুমদার।