#মালদহ: কার্যত লকডাউনের মধ্যেই রমরমিয়ে চলছিল "ভেজাল" তেলের কারখানা। লকডাউন পরিস্থিতি দেখতে বেরিয়ে আচমকা হানা মহকুমা শাসকের। মালদহের চাঁচলে ভেজাল তেলের কারখানার হদিশ মিলল। আটক করা হয়েছে কারখানার পাঁচ কর্মীকে। প্রশাসনের অভিযানের সময় গা-ঢাকা দেন কারখানার মালিক। ঘটনাস্থল থেকে তেলের নমুনা সংগ্রহ করেছে প্রশাসন। উদ্ধার হয়েছে নামিদামি কোম্পানির স্টিকার, রঙ এবং ঝাঁঝালো কেমিক্যাল। জানা গিয়েছে, সস্তা ও নিম্নমানের তেল এনে রঙ ও কেমিক্যাল মিশিয়ে পুনরায় নামী দামী কোম্পানির স্টিকার লাগানো টিনে ভর্তি করে বাজারজাত করার কাজ হচ্ছিল এই কারখানা থেকে। এর আগেও বছর তিনেক আগে এই কারখানায় অভিযান চালায় মহকুমা প্রশাসন। সেই সময়ও ভেজাল তেল তৈরির অভিযোগে কারখানাটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ফের চালু হয় এই কারখানা।
রবিবার সকালে করোনা মোকাবিলায় সরকারের জারি করা বিধি-নিষেধ কতটা কার্যকরী হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে বের হন চাঁচলের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল। তখনই তাঁর নজরে পড়ে ওই সরষের তেলের কারখানা। কারখানার ভিতরে যেতেই কার্যত চক্ষুচড়কগাছ মহকুমা শাসকের। কারখানার ভিতরে সস্তার তেল-কে নামিদামি কোম্পানির সরিষার তেলের মোড়কে বাজারে পাঠানোর কাজ হচ্ছিল। এরপরেই মহকুমা শাসকের নির্দেশে চাঁচোল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কারখানার যাবতীয় সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে চাঁচল থানার পুলিশ। অবশ্য ওই কারখানার মালিক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন স্বাস্থ্য দফতরের দল। এমন তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন মহাকুমার স্বাস্থ্য কর্তা জয়ন্ত বিশ্বাস।মহকুমার শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হয়েছে এই কারখানায় যে তেল তৈরি করা হচ্ছিল তা সঠিক পদ্ধতি মেনে তৈরি হতো না। এছাড়া তেলের গুণমান নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কারখানা থেকে সংগৃহীত তেলের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
Published by:Pooja Basu
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।