#মালদহ: প্রথমবার ভোটের ময়দানে নেমে আব্বাস সিদ্দিকি যেভাবে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দাবি দাওয়া করছেন তাতে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস সাংসদ ও মালদা জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসান খান চৌধুরী। মালদহে আব্বাস সিদ্দিকীর সেক্যুলার ফ্রন্টকে কোন আসন ছাড়া সম্ভব নয় বলেও রবিবার নিউজ-১৮ বাংলায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ডালুবাবু। শুধু মালদহ নয়, মুর্শিদাবাদেও আব্বাস সিদ্দিকির সেকুলার ফ্রন্টকে কোনও বিধানসভা আসন কংগ্রেস ছাড়তে চায় না বলেও এ দিন মন্তব্য করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। প্রয়োজনে আব্বাস সিদ্দিকির ফ্রন্টের সঙ্গে মালদহে লড়াইয়ের ময়দানে কংগ্রেস প্রস্তুত বলেও রাখঢাক না করে জানিয়ে দিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি ডালুবাবু।
ডালুবাবু জানান, আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোটের বিষয়টি এআইসিসি এবং পিসিসি দেখছে। তবে আব্বাসের দাবি-দাওয়া অত্যন্ত বেশি। উনি জেলা ধরে ধরে আসন দাবি করছেন। এত বেশি আসনের দাবি মানা অত্যন্ত কঠিন। কেন এত আসন দেওয়া হবে। ফলে মনে হয় না ওঁর সঙ্গে আমাদের কোনো সমঝোতা হবে। কারণ, রাজ্য কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে মালদা এবং মুর্শিদাবাদ নিয়ে সেক্যুলার ফ্রন্টের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হবে না। ডালু বলেন, "আমার ব্যক্তিগত মত মালদহে কোন আসন ছাড়া যাবে না। এখন হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবেন।"
উল্লেখ্য, এর আগে মালদহে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সংবাদমাধ্যমে আব্বাস সিদ্দিকি স্পষ্ট জানিয়ে দেন মালদহে বিধানসভা ভোটে লড়াই করতে আগ্রহী তাঁর দল। জোট না হলে মালদহ জেলার ১২ বিধানসভা আসনের মধ্যে ছ'টিতে একক শক্তিতে প্রার্থী দেওয়ার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি। মালদহের মতো সংখ্যালঘু প্রভাবিত জেলায় বিধানসভা ভোটে লড়াই করে আসন জেতার ব্যাপারে আশাবাদী সেকুলার ফ্রন্ট। মালদহের কিছু এলাকায় ফুরফুরা শরিফের অনুগামী রয়েছেন। এই অবস্থায় মালদহে কোনও আসন না পেলে জোটে জেতে আপত্তি রয়েছে সেকুলার ফ্রন্টের অভ্যন্তরে। মালদহে কোতুয়ালী পরিবারের সঙ্গে ফুরফুরা শরিফের সম্পর্ক ভালো। দিন কয়েক আগে ছেলে ঈশা খান চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে ফুরফুরা শরিফে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎও করেন ডালুবাবু। কিন্তু ডালুবাবু এদিন বলেন, ব্যক্তিগত সম্পর্ক আর রাজনৈতিক লড়াই এক নয়।
Sebak DebSarma
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Congress