#রকি চৌধুরী, জলপাইগুড়ি: ফের লোকালয় থেকে উদ্ধার হল লুপ্তপ্রায় অতি বিরল প্রজাতীর ইয়োলো পিট ভাইপার সাপ (Rarest Pit viper snake)। এবার জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকের বাতাবারি এলাকার একটি রিসোর্টের পাশের গাছ থেকে সাপটিকে উদ্ধার করা হয়।
এদিন সকালে রিসর্টের এক কর্মী সাপটিকে প্রথম দেখতে পান । একটি ঝোপে সাপটি ছিল । সাপটিকে দেখা মাত্রই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। যদিও গ্রামের সকলেই প্রথমে সাপটিকে দেখে লাউডগা সাপ বলে মনে করেন। সাপটিকে দেখা মাত্রই খবর দেওয়া হয় চালসা রেঞ্জের বনকর্মীদের। খবর পেয়েই গ্রামে ছুটে আসেন বনকর্মীরা।তারা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে বিশেষজ্ঞরা জানান, উদ্ধার হওয়া সাপটি বিষধর ইয়োলো পিট ভাইপার যাকে বাংলায় হলুদবোরা বলা হয়ে থাকে। সাপটি লম্বায় আড়াই ফিট, এরা সাধারণত চাবাগান ও পাহাড়ি এলাকায় থাকে। তাহলে কী করে এই সাপটি গ্রামে এলো সাপটি তা নিয়ে চিন্তায় সর্পবিশারদ থেকে পরিবেশপ্রেমীরা ।
১৯৯৯ সালে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে সাপ সমিক্ষার সময় এই সাপের দেখা মিলেছিল। পরে ২০০৫ সালে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে সাপ সমীক্ষা চলাকালীন ফের দেখা মিলে গ্রিন পিট ভাইপার ও ইয়লো পিট ভাইপারের। উত্তরবঙ্গের চার জেলা জলপাইগুড়ি,আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং দার্জিলিং এলাকায় হঠাৎ এদের দেখা মেলে। বনাধিকারিকরা জানান এই সাপটি বর্তমানে অতি বিরল এবং লুপ্তপ্রায় ।
সর্পবিশারদ মিন্টু চৌধুরী বলেন, "এই সাপ সাধারনত গ্রামীন এলাকা বা শহুরে এলাকায় দেখা পাওয়া যায় না । চা বাগান এবং পাহারি এলাকায় হঠাৎ এদের দেখা মেলে। কী ভাবে এই গ্রামে সাপটি এলো তা নিয়ে খোজ খবর করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে বানারহাট এলাকায় যখন বন্যাপরিস্থিতি হয়েছিল। সেই সময়েই এই প্রজাতির এক সাপের দেখা মিলেছিল।"
মিন্টু চৌধুরী আরও জানাচ্ছেন, এরা খুবই বিষধর। এই সাপ কামড়ালে সঠিক সময় চিকিৎসা না করা হলে শরার যে সব জায়গায় ছিদ্র রয়েছে সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে, মৃত্যুও হতে পারে। এই ধরনের সাপ বাচ্চা প্রসব করে থাকে। সাপটিকে দেখে মনে হল সাপটি গর্ভবতী। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে সেই সাপটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jalpaiguri, Snake