#মালদহ: সিভিক ভলান্টিয়ারের নিরাপত্তায় পুলিশ! শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ছবি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। রবিবার দুপুরে ছ’টাকার লটারি কেটে দিনের দিনেই কোটিপতি হয়ে যান হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ আলম। তারপর থেকেই যেন বদলে গিয়েছে ফিরোজের রোজনামচা।
উর্দিধারীরা চোখের আড়াল হতে দিচ্ছে না ফিরোজকে। এমনকী, অনেকে আবার কোটিপতির সঙ্গে মজে সেলফিতে। হরিশচন্দ্রপুর থানার আলিপুর গ্রামের টালির ছাউনি দেওয়া ঘরে বসবাস করেন ফিরোজ। আট বছর আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান ফিরোজের বাবা মুসলিমউদ্দিন। বাবার মৃত্যুর তিন বছরের মধ্যেই মারা যান দাদাও। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করে সংসারের হাল ধরেন ফিরোজ।
হরিশচন্দ্রপুরের তুলসিহাটা মোড়ে উর্দি পরে ট্রাফিক সামাল দেন তিনি। এদিন ডিউটিতে যোগ দেওয়ার আগে হরিশচন্দ্রপুরের শহীদ মোড়ের ৬ টাকার দামের লটারি কাটেন ফিরোজ। তিনি লটারি পকেটে পুড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন রোজকার মতো ট্রাফিক সামাল দিতে। আচমকা দুপুরে ফোন মারফৎ জানতে পারেন ভিনরাজ্যের লটারির প্রথম পুরস্কারের টিকিট তাঁরই পকেটে।
বন্ধুর কথায় বিশ্বাস করতে না পেরে নিজেই একবার টিকিট মিলিয়ে নেন তিনি। টিকিটে এক কোটি টাকা পাওয়ার বিষয় চাউর হতেই থানা থেকে ফোন আসে ফিরোজের কাছে। টিকিট হাতে সোজা ছুটে যান থানায়।তারপরেই থেকেই কোটিপতির নিরাপত্তা দিতে যেন উড়ে পড়ে লেগেছে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ কর্তারা।
এক পুলিশ কর্তা রসিকতা করে বলেন, “এখন ফিরোজকেই পাহারা দিতে হবে। নয়া কোটিপতি বলে কথা।” এক টিকিটে যে ভাগ্য বদলে যাবে তা তিনি ভাবতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ফিরোজ। তিনি বলেন, “বাড়িতে বিধবা মা, বৌদি এবং ভাইজি রয়েছে। পরিবারের আমি একমাত্র রোজগেরে। ভাইজিকে ভাল মতো পড়ানো এবং স্বপ্নের বাড়ি বানাব।”
Sebak Deb Sharma
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Civic volunteer, Winning Lottery