#শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির ৯টি ওয়ার্ডে দিনভর চললো পুলিশি তৎপরতা। এই ৯ ওয়ার্ডেই গতকাল বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। নিয়ম ভাঙলেই গ্রেপ্তার। এই নির্দেশই দিয়েছেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ত্রিপুরারী অর্থব। শহরজুড়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সে আক্রান্তের শতাংশের হিসেবে এগিয়ে এই ৯টি ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডগুলোতে আক্রান্তের হার জেলায় মোট সংক্রমণের ৪৫ শতাংশ। তাই নতুন করে যাতে আর না ছড়ায় সেজন্য তৎপর শিলিগুড়ি পুলিশ।
সকাল থেকেই কন্টেইনমেন্ট ওয়ার্ডগুলোতে বাড়তি নজরদারি। তবুও অসচেতনতার ছবি ধরা পড়লো বিভিন্ন ওয়ার্ডে। অনেকেরই মুখ ঢাকেনি মাস্ক বা ফেস কভারে। দিব্বি চায়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড়। আবার বাঁশের ব্যারিকেড ডিঙিয়ে চলছে অনেকেই। এর বিরুদ্ধেই অভিযানে নামে পুলিশ। পুরসভার ২, ৪, ৫, ২৮, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪৩ এবং ৪৬ নং ওয়ার্ডে লাগাতার অভিযান চালায় পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিডি'র এসিপি রাজেন ছেত্রীর নেতৃত্বে চলে অভিযান। ৯টি ওয়ার্ডেই সমানভাবে চলে অভিযান। সরকারী নির্দেশিকা না মানলেই ঠাঁই পুলিশের গাড়িতে। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ জনেরও কাছাকাছি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিনা মাস্কে দিব্বি আক্রান্ত ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকেই। জিজ্ঞেস করতেই জবাব এই তো উলটো দিকে বাড়ি। মাস্ক আছে। এভাবেই করোনাকে ডেকে আনছে তারা। যা আগামী দিনে শহরে আরো বিপদ বাড়াবে বলে দাবী চিকিৎসকদের। কবে হুঁশ ফিরবে এদের? পুলিশি তৎপরতার পরও ছবি বদলায়নি। তবে কঠোর হাতেই এর মোকাবিলা করবে পুলিশ। কন্টেইনমেন্ট ওয়ার্ড ঘোষণার পরই গতকাল ৪ নং ওয়ার্ডে নতুন করে ৯ জনের লাকা রসের নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় উদ্বেগও বেড়েছে। শহরের একাধীল বাজার বন্ধ। যে বাজার খোলা রয়েছে সেখানেও সেই পরিচিত অসচেতনতার ছবি। মাস্ক নেই মুকে। এমনকী সোশ্যাল ডিস্টেনশিংও মানার বালাই নেই। তাই বাজারগুলোতে পুলিশি নজরদারীর দাবী তুলেছেন ক্রেতারা।
Partha Pratim Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Containment Zone, Coronavirus, COVID-19