শিলিগুড়ি: কোটা থেকে স্পেশাল বাসে চেপে ঘরে ফিরলো উত্তরবঙ্গের পড়ুয়ারা। দীর্ঘদিন ধরে কোটায় আটকে ছিল এই রাজ্যের ২৫০০ পড়ুয়া। করোনার জেরে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন, বাস, বিমান পরিষেবা। বাড়ি ফেরার আর্তি জানায় পড়ুয়ারা। দুশ্চিন্তায় পড়েন পড়ুয়াদের বাড়ির লোকেরা। কীভাবে ফিরবে তাদের ছেলে-মেয়েরা?
অভিভাবকেরা দফায় দফায় রাজ্যের কাছে আর্জি জানিয়ে আসছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজস্থান সরকারের সঙ্গে কথা বলে বাসের আয়োজন করে। সেইমতো গতকাল দুপুরে কোটা থেকে বাস ছাড়ে। প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এদিন দুপুর থেকে এক এক করে গাড়িগুলো আসতে থাকে শিলিগুড়িতে। ২৭টি বাসে ৭৮৪ জন পড়ুয়া নামেন শিলিগুড়ি। তারপর এখান থেকে উত্তরের সব জেলায় পড়ুয়াদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে রাজ্য। সেইমতো শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে বড় মাঠে এর আয়োজন করা হয়।
দুপুর ৩টে নাগাদ প্রথম বাসটি এসে পৌঁছয় ১৭ জন পড়ুয়া নিয়ে। তারপর এক এক করে বাকি ২৬টি বাসও এসে পৌঁছয়। কাওয়াখালিতে উত্তরবঙ্গ পরিবহন নিগমের ৩৮টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়। সেই বাসগুলোতে চেপে উত্তরের পাহাড় থেকে সমতল ৮ জেলায় পড়ুয়াদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কাওয়াখালিতে থার্মাল চেকিংয়েরও ব্যবস্থা করা হয়।
প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর থার্মাল চেকিং করেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। বাসে ওঠার আগেও একইভাবে থার্মাল চেকিং করা হয় কোটায়। বাস থেকে নামতেই প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাবারের প্যাকেটও। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ত্রিপুরারী। মন্ত্রী প্রত্যেক পড়ুয়ার হাতে তুলে দেন গোলাপ ফুল। এভাবেই রাজস্থানের কোটায় আটকে থাকা পড়ুয়াদের বরণ করে নেওয়া হয়।
মন্ত্রী জানান, অভিভাবকেরা দীর্ঘদিন ধরে আর্জি জানিয়ে আসছিল। সেইমতো মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নেন। আর আজ ছেলে-মেয়েরা ঘরে ফেরায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তাদের অভিভাবক, অভিভাবিকারা। রাজ্যের এহেন উদ্যোগের প্রশংসাও করেছেন তারা। একইভাবে কলকাতা এবং আসানসোলেও কোটা থেকে ফেরে পড়ুয়ারা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus, COVID-19, Lockdown, North Bengal, Rajasthan