হোম /খবর /উত্তরবঙ্গ /
মুম্বই থেকে পাহাড়ে ফিরলেন ৬০০ পরিযায়ী শ্রমিক

মুম্বই থেকে পাহাড়ে ফিরলেন ৬০০ পরিযায়ী শ্রমিক

কানপুর এবং বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে আরএসএস কর্মীরা কী কী উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়েছেন, তার বিস্তারিত তথ্য জানতে চান মোহন ভগবত৷ করোনা অতিমারির সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরএসএস কী কী কর্মসূচি নিয়েছে, আরএসএস কর্মীদের সামনে তাও তুলে ধরেন তিনি৷

কানপুর এবং বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে আরএসএস কর্মীরা কী কী উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়েছেন, তার বিস্তারিত তথ্য জানতে চান মোহন ভগবত৷ করোনা অতিমারির সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরএসএস কী কী কর্মসূচি নিয়েছে, আরএসএস কর্মীদের সামনে তাও তুলে ধরেন তিনি৷

বৃহস্পতিবার আরেক দফায় ফিরলেন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে। করোনার হটস্পট মুম্বাইয়ের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, রেস্তোরাঁ, হোটেলে কাজ করতেন।

  • Share this:

#শিলিগুড়ি: মহারাষ্ট্র থেকে পাহাড়ে ফিরলেন এক ঝাঁক পরিযায়ী শ্রমিক। বৃহস্পতিবার আরেক দফায় ফিরলেন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে। করোনার হটস্পট মুম্বাইয়ের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, রেস্তোরাঁ, হোটেলে কাজ করতেন। লকডাউনের জেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। সেখানেই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। কিন্তু যেভাবে মুম্বাইতে সংখ্যাটা বাড়ছিল, তাতে উদ্বেগে পড়ে যান তাদের পরিবারের লোকেরা। দার্জিলিং জেলার মিরিক, কার্শিয়ং, সিটং-সহ একাধিক জায়গার বাসিন্দা তারা। আবার কেউ কালিম্পং জেলার আলগাড়া, গরুবাথান সহ বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দা। সবমিলিয়ে এদিন ৬০০ জনের কাছাকাছি পাহাড়ের পরিযায়ীরা ফিরলেন নিজের নিজের জেলায়।

শুধু পরিযায়ীরাই নয়, এদিন শ্রমিক স্পেশালে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকার ছাত্র, ছাত্রীরাও ফেরে। করোনার জেরে লকডাউন। বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ফেরার যে উপায় ছিল না। তাই আটকে পড়েছিলেন। সমস্যা যে হয়নি তেমনটা নয়৷ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু হতেই একে একে ফিরছে ঘরে। এদিন এনজেপি স্টেশনে পৌঁছয় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। নির্দিষ্ট সময়ের ১২ ঘন্টার বেশি সময় পর। স্বাভাবিকভাবেই বেশ টায়ার্ড। স্টেশনেই জিটিএ'র পক্ষ থেকে পৃথক কাউন্টার খোলা হয়। সেখানেই এক এক করে ফিরে আসা সকলের হেলথ স্ক্রিনিং করানো হয়। নথিভুক্ত করা হয় নাম, ঠিকানা, আধার কার্ড, মোবাইল নম্বর। জিটিএ'র পক্ষ থেকেই গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। তবে এখন কেউই বাড়ি ফিরতে পারবেন না। সকলকেই থাকতে হবে নিজেদের এলাকার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। সেখানে ১৪দিন কাটিয়েই বাড়ি ফেরা। আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না জিটিএ'ও। পাহাড়েও বাড়ছে সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই ৯জন করোনা আক্রান্ত। সকলেরই ভিন রাজ্য থেকে ফেরার ট্র‍্যাভেল হিস্ট্রি রয়েছে।

স্টেশন থেকেই থার্মাল চেকিংয়ের পর লাঞ্চ প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। এদিন সিকিমেরও বহু ছাত্র, ছাত্রী ফেরে শ্রমিক স্পেশালে চেপে। মুম্বাইতে উচ্চ শিক্ষার জন্য গিয়ে আটকে পড়ে লকডাউনে। এদিন ১৫০ জন সিকিমবাসী ফেরে এনজেপিতে। স্টেশনেই সিকিম সরকার গাড়ির ব্যবস্থা করে। সেই গাড়িতে চেপেই নিজেদের রাজ্যে ফেরে ওরা। তাদেরকেও রাখা হবে বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। সিকিমে এখোনও পর্যন্ত ১ জন করোনা আক্রান্ত। তাই যথেষ্টই সতর্ক সিকিম। কোনোরকম ঝুঁকিই তারা নেবে না। আরও বেশ কয়েকটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন আসবে এনজেপিতে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

Published by:Dolon Chattopadhyay
First published:

Tags: Migrant labour, Migrant Labour Returned From Mumbai, Mumbai