Sebak DebSarma
#মালদহ: ফের বিধ্বংসী গঙ্গা ভাঙন মালদহে। ঘন্টা খানেকের ভয়াবহ ভাঙনে গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গেল অন্তত ৫০টি বাড়ি। ধসে গেল গত কয়েকদিনের তৈরি ভাঙন রোধের কাজ। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বৈষ্ণবনগরের চিনাবাজারে বড়সড় এলাকা জুড়ে শুরু হয় তীব্র ভাঙন।
মাঝে তিনদিনের ব্যবধান, ফের ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনের কবলে মালদহের বৈষ্ণবনগরের চিনা বাজার এলাকা। এ দিন দুপুর একটা নাগাদ আচমকা রুদ্র মূর্তি নেয় গঙ্গা। মূহূর্তের মধ্যে গ্রাস করে লোকালয়। চোখের সামনে একের পর এক কাঁচা-পাকা বাড়ি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যায়। আস্ত গাছ বিলীন হয়ে যায় নদীর গভীরে। টেকেনি ভাঙন ঠেকানোর জন্য গত কয়েকদিনে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের তৈরি বালির বস্তার গার্ডওয়াল। প্রথমে নদীর পাড়ের বালির বস্তার কাজ ধসিয়ে দেয় গঙ্গা। এরপর শুরু হয় একের পর এক বাড়িতে আঘাত। এলাকার মাটিতে চির ধরে। এরপর গঙ্গায় ধসে পড়ে নদী পাড়ের বসতি, বেসরকারি স্কুল, গাছপালা। ভয়ে আতঙ্কে চিনা বাজার এলাকায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন বিপন্ন মানুষ।
চিনা বাজার এলাকায় নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসনের দাবিতে এ দিন আগাম আন্দোলন কর্মসূচী নিয়েছিল মালদহ জেলা কংগ্রেস। কর্মসূচীতে হাজির ছিলেন মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী সহ জেলার বিধায়ক ও কংগ্রেস নেতারা। পূর্নবাসনের দাবিতে এ দিন বৈষ্ণবনগরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস সমর্থকরা। এরপর বিধায়ক ঈশা খানকে সঙ্গে নিয়ে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান মালদহ দক্ষিণের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। তাঁদের পরিদর্শনের সময়ই আচমকা ভাঙন তীব্রতর হয়। সব দেখে শুনে সাংসদ বলেন, দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ভাঙন রোধের স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাবেন তিনি। অন্যদিকে, পূনর্বাসন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা করে সরব হন বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।