#শিলিগুড়ি: স্বাস্থ্য কর্তার আশঙ্কাই সত্য হল! গতকালই জানানো হয়েছিল যে আক্রান্তের গ্রাফ আরও বাড়বে। র্যাপিড টেস্ট শুরু হলে তা বাড়বে। এখোনও জেলার সব পুরসভা এবং ব্লকে র্যাপিড টেস্ট শুরুই হয়নি। তাতেই সংখ্যাটা ফের উর্ধমুখী। আগামী দিনে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। আর আক্রান্ত চিহ্নিত করা গেলেই তো সুস্থতার হার বাড়বে। কেননা শিলিগুড়িতে চিকিৎসার সুযোগ মিলবে। কো-মর্বিডিটিতে আক্রান্তের সংখ্যাও কমবে। চিকিৎসার সুযোগ পেয়ে সুস্থ হয়ে উঠবেন আক্রান্তরা। সেইসঙ্গে কোভিড ফ্রি হওয়ারও সুযোগ মিলবে। কেননা এখনও কোনও কোভিড প্রতিরোধক টিকা বাজারে আসেনি।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের শেষ দিন পর্যন্ত কঠিন সময়। এই সময় পর্যন্ত যথাযথভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরাটা অভ্যেসের মধ্যেই রাখতে হবে। তাহলে সংক্রমণের সংখ্যা কমবে। কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ তা মানছে কোথায়? পাহাড় পারছে, কিন্তু সমতল পারছে না। হাট, বাজারের ভিড় এড়িয়ে না চললে উপায় নেই। বৃহস্পতি এবং শুক্রবারে পূর্ণ লকডাউন। তার আগে খাদ্য সামগ্রী মজুত করার যেন হিড়িক পড়ে গিয়েছে। আর তা থেকেই বিপদ ডেকে আনছে সাধারন মানুষের একাংশ।
গত ২৪ ঘন্টায় শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ড এবং দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সমতলের গ্রামীন এলাকা মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৮। গত কয়েক দিন সংখ্যাটা ৭০-এর আশপাশ দিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। এবারে ১০০ পার। এর মধ্যে পুর এলাকায় আক্রান্ত ৫৩। গ্রামীন এলাকায় নতুন করে ৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে মাটিগাড়ায় আক্রান্ত ২২ জন। নকশালবাড়িতে আক্রান্ত ১৬, খড়িবাড়িতে ৫ এবং ফাঁসিদেওয়া ব্লকে ৩ জন। পাহাড়ে নতুন করে আক্রান্ত ৮ জন। অনেকটাই কম। কার্শিয়ং ও মিরিকে আক্রান্ত ৩ জন করে। আর শৈলশহর দার্জিলিংয়ের পুর এলাকায় ১ এবং পুলবাজারে আক্রান্ত ১ জন। তবে পাহাড়ের পাদদেশ শিলিগুড়ি লাগোয়া সুকনায় বেড়েছে গ্রাফ। নতুন করে আক্রান্ত ১১ জন। এদিনও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৮ জন। শিলিগুড়ির দুই কোভিড হাসপাতাল এবং হোম আইশোলেশনে চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে কোভিড জয় করেছেন তারা।
Partha Pratim Sarkar