হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
বাঁশ নিয়ে যত কাণ্ড, আর তাতেই ভরে পেট

North 24 Parganas News: বাঁশ নিয়েই যত কাণ্ড, আর তাতেই জোটে দুমুঠো ভাত!

X
বাঁশের [object Object]

বাঁশের উপর নানান কারুকার্য করে তাঁরা রচনা করেন শিল্প। এই শীতকালে বিভিন্ন মেলায় সেই সব কিছু বেচেই সারা বছর দুটো ভাতের সংস্থান করেন শিল্পীরা

  • Share this:

উত্তর ২৪ পরগনা: শীতের মরশুমে নানান জায়গায় মেলা, উৎসব হয়। আর এই তিন মাসের মেলা, উৎসব থেকেই বছরের অধিকাংশ সময়ের রোজগার তুলে নিতে হয় বহু মানুষকে। যারা শিল্পী নামে খ্যাত হলেও জীবন কাটান অত্যন্ত দুর্দশার মধ্যে। বাঁশের ওপর কারুকাজ করা শিল্পীদের অবস্থা এমনই। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে হাতের কাজ বিক্রি করে দুটো পয়সা রোজগার করেন এই শিল্পীরা। করোনার প্রভাবে গত দু'বছর আর্থিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ ছিল। বর্তমানে এই শিল্পীরা ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালাচ্ছেন।

বাঁশ দিয়ে তারা অসামান্য সব হাতের কাজ ফুটিয়ে তোলেন। বাঁশের উপর এই শিল্পীদের কারুকাজ যেন কথা বলে। আর তা কিনে নিয়ে গিয়ে ঘর সাজান সৌখিন মানুষজন। তবে এই শিল্পীদের রোজগার মূলত শীতকালে‌ই। শীতের মরশুমে বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন মেলায়, উৎসবে ঘুরে বেড়ান বাঁশের উপর তৈরি এইসব শিল্পকর্ম বিক্রি করার জন্য।

আরও পড়ুন: মারণ গেমের থাবা থেকে তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে তৈরি হল সিনেমা

বাঁশ কেটে তা ঘষে চেঁছে তার উপর হাতুড়ি-বাটালি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় অনবদ্য সব কারুকাজ। তারপর আগুনে পুড়িয়ে সেই বাঁশের কারুকাজে কালচে রঙের আস্তরণ তৈরি করা হয়। তারপর বিভিন্ন ধরনের আলো লাগিয়ে তৈরি করা হয় ফুলদানি থেকে নাইটল্যাম্প। অপরদিকে বাঁশের চোঁচ সরু আকারে কেটে তা শুকিয়ে রং করে তৈরি হয় ঝুড়ি, কুলো, ফল রাখার প্লেট সহ নানান উপকরণ। এর কোনোটি ৩০ টাকা, কোনটি ৭০ টাকা, কোনটি আবার ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে এইভাবে তৈরি ফুলদানি ও নাইট ল্যাম্প বিক্রি হয় ৭০০-১২০০ টাকা দামে। এই শিল্পীরা পরিবার নিয়েই শীতকালে এক মেলা থেকে অন্য মেলায় ঘুরে বেড়ান। এখন শীত প্রায় শেষের পথে। ফলে পরিবার নিয়ে এবার ঘরে ফেরার পালা তাঁদের। আবার এক বছরের অপেক্ষা।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Published by:Kaustav Bhowmick
First published: