উত্তর ২৪ পরগনা: জেলার প্রাচীন শহর গোবরডাঙ্গা এলাকায় প্রবেশের মুখেই আছে ঐতিহাসিক স্মৃতি, তবে অনেকেরই আজ তা অজানা। গোবরডাঙ্গায় ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া সূর্যঘড়ি আজও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। তবে হারিয়েছে তার কর্মক্ষমতা। সূর্যের আলো দিয়ে সময় নির্ধারণ করার সমস্ত অংশই আজ বিলুপ্তির পথে। অভিযোগ, উদাসীনতা কিংবা ঐতিহাসিক স্থাপত্যকে গুরুত্ব না দেওয়ায় ধীরে ধীরে অস্তিত্ব সঙ্কটে গোবরডাঙার সূর্যঘড়ি।
সূর্যঘড়ি এমন একটি কৌশল যা সূর্যের অবস্থান নির্ণয়ের মাধ্যমে সূর্যালোককে কাজে লাগিয়ে সময় নির্ধারণ করতে পারে। বিগত দিনে সময় জানতে তেমন ভাবে ব্যবহার ছিল না ঘড়ির। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি সূর্য ঘড়ি রয়েছে গোবরডাঙ্গার জমিদার বাড়ির পাশেও। অন্য জায়গার সূর্যঘড়ির থেকে গোবরডাঙা সূর্যঘড়ি আকারে এবং আয়তনে বেশ অনেকটাই বড়।
জানা যায়, ১৮৬৮ সালে জমিদার সারদা প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় তৈরি করেছিলেন এই সূর্যঘড়ি। সাধারণ মানুষের যাতে সময় দেখতে অসুবিধে না হয়, সেই ভেবেই এই ঘড়ি তৈরি হয়। এই জন্য সারদা প্রসন্ন তৎকালীন শিক্ষা সচিব ও বিশিষ্ট গণিত বিশারদ হলিডে সাহেবের শরণাপন্ন হন। জমিদার সারদা প্রসন্নের অনুরোধে জমিদার বাড়ির পাশেই তৈরি করেছিলেন এই সূর্যঘড়ি।
আরও পড়ুন: সেবক-রংপো রেল প্রকল্পে নতুন সাফল্য! ১৪ নং টানেলের কংক্রিট লাইনিংয়ের কাজ সম্পূর্ণ
আরও পড়ুন: মাছ বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল কন্যাশ্রীর টাকা! ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘটল এই ঘটনা! জানুন
আজ রাস্তার ধারে অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন। পৌরসভার তরফ থেকে কয়েক বছর আগে রং করা হলেও এই সূর্যঘড়ি সংরক্ষণের জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রাচীন শহর গোবরডাঙ্গার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই সূর্যঘড়ির, যা আজ কালের নিয়মে অচল। তবে আজও এই ঘড়ি ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে।
রুদ্র নারায়ণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।