#উত্তর ২৪ পরগনা: পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র মহিলা সানাই বাদক বোধ হয় তিনিই। দাবি করলেন অশোকনগর কল্যানগড়ের অঞ্জনা নন্দী। সঙ্গীত চর্চা আগেই ছিল , তবে সানাই বাজানো নিয়ে দাদার সঙ্গে জেদ করেই এই যন্ত্রসঙ্গীতের জগতে পা রাথা। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ নারী ও শিশু কল্যান দপ্তর থেকে সম্মানও অর্জন করেছেন তিনি। প্রতিভার জোরে গিয়েছেন জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো-তেও।
মহিলারা আজ কোথায় নেই সেটাই খুঁজতে হবে। বিমান ওড়ানো থেকে সীমান্ত রক্ষীবাহিনী সবজায়গাতেই রয়েছে মহিলাদের অবদান।অঞ্জনা দেবীর সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ ছোটবেলা থেকেই। তা বলে কোনদিন সানাই বাজাতে পারবেন তা নিজেও ভাবেনি। কিভাবে সানাইয়ের প্রতি ভালোবাসা?উত্তরে বেশ মজা করেই জানালেন, ২০১৫ সালে কোন একটি ঘটনায় দাদার সঙ্গে জেদ করে তাঁর এই জগতে আসা। সানাই বাজানোর পর থেকেই সঙ্গীত জগতে অঞ্জনা নন্দী এখন পরিচিত নাম।বিভিন্ন রিয়ালিটি শো-তে অংশ নিয়ে তিনি আজ খুবই পরিচিত মুখ। অঞ্জনা দেবীর পুরো পরিবারের সদস্যরাই সঙ্গীত জগতের সঙ্গে যুক্ত।
দাদা সানাই বাজাতো। ভাই তবলা আর হারমোনিয়াম বাজাতো । কিভাবে সানাই বাজানোর প্রতি আগ্রহ বাড়ল সেটা এবার খোলসা করলেন অঞ্জনা দেবী। বললেন, কোন একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে দাদাকে ইমন কল্যাণ রাগ বাজাতে বলে। কিন্তু দাদা বাজাতে পারেনি, সমস্যায় পড়তেই বোন অঞ্জনা বলে দাদা তুই তো ইমন রাগ টা জানিস, আমি কল্যাণ আহরোনটা বলে দিচ্ছি। কিন্তু সেই সময় বোনের এই পরামর্শ দাদা ভালো ভাবে নেয়নি এবং বোনকে অপমান করে। এই ঘটনার পর থেকে জেদ জন্মে যায় অঞ্জনার মধ্যে । এরপর ভাই এর কাছ থেকে গুরুজি ফকির আহমেদের সাথে যোগাযোগ করে শুরু করে প্রশিক্ষণ পর্ব।এক বছর লেগেছিল সানাই এর ফু বের করতে। তারপর যা হয়েছে সবার সামনে। তিনবছর পর গুরুজি সাথেই প্রথম মঞ্চে সানাই প্রদর্শন।আজ বহু জায়গায় মহিলা সানাই বাদকের ডাক পায় অঞ্জনা।
আজ যেখানে যায় সানাই বাজাতে, সেখানে যথেষ্ট সম্মানিত হন অঞ্জনা নন্দি। কারণ পুরুষদের হাতে সানাই দেখতে সকলেই অভ্যস্ত। কিন্তু যখনই কোন এক মহিলাকে সানাই বাজাতে দেখছেন তখনই সকলে থমকে যাচ্ছেন।অঞ্জনা দেবী জানিয়েছেন, সম্মান, খ্যাতি আজ সবটাই তার জীবনে এই সানাইকে ঘিরে। অঞ্জনা দেবী চায় আরও মহিলা তাঁর মত এগিয়ে আসুক হাতে তুলে নিয়ে এই সানাই বাদ্যযন্ত্র। অঞ্জনা দেবী শুধু যে সানাই বাজায় তা নয় এখন সে ঢাকও বাজায়,ভাই সজল নন্দির সহযোগিতায় মহিলা ঢাকি টিম আজ অশোকনগরের পরিচিত নাম। যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানান অনুষ্ঠানে গিয়ে ঢাক বাজিয়ে সুনাম অর্জন করছে। মহিলা ঢাকি বলতে ছেলেদের সাথে সঙ্গ দেওয়া নয় মহিলা ঢাকির দলে শুধুমাত্র মহিলারাই থাকবে এই চিন্তাভাবনা ভাই সজল নন্দি,সেইমত মহিলাদের নিয়েই এগিয়ে চলেছে সজল নন্দি। কেউ ঢাকি আবার কেউ সানাই,অশোকনগর কল্যাণগড়ে মহিলারা আজ দশভুজা,দশ হাতে দশরকম বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নজর কেড়েছেন বহু গুণমুগ্ধদের।
রুদ্র নারায়ন রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।