#উত্তর ২৪ পরগনা: লকডাউন বদলে দিয়েছে অনেকের জীবন। অনেকেই বদলেছে পেশা। অনেকে আবার কাজ হারিয়েছেন। সবমিলিয়ে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতার সাক্ষী মানুষ। পেশা বদলে অনেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। সেরকমই একজন বাপি সাহা।
অশোকনগর কল্যাণগড়ের বাসিন্দা তিনি। করোনার আগে বাড়ি বাড়ি জল দেওয়ার কাজ করতেন। লকডাউনের সময় গিয়েছে সেই কাজ। অসহায় বাপি পরিবার চালাতে এরপর রীতিমতো হিমশিম খান। পরিবারের সদস্যদের মুখে আহার তুলে দিতে সমস্যায় পড়তে হয় তাকে। এমন কী সংসার চালাতে অর্থনৈতিক মন্দার কাছে জীবন শেষ করে দেওয়ারও চিন্তা আসে মনে। তবে সেই দুঃসময় কাটিয়ে আজ বাপির জীবনে এসেছে সুসময়।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ! মর্মান্তিক মোরবিতে বিজেপি সাংসদের গোটা পরিবার শেষ, ১২ সদস্যের মৃত্যু!
তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এক মিষ্টির দোকান। তাদের উদ্যোগেই আজ কাজ পরিবর্তন করে সচ্ছলভাবেই জীবন যাপন করতে পারছেন বাপি।লকডাউন পরবর্তী সময় বদলে দিয়েছে তার জীবন। এক মিষ্টির দোকানে কাজে যোগ দেন তিনি। এক দোকান থেকে অন্য দোকানে মিষ্টি বয়ে নিয়ে যান বাপি। তার জন্য একটি ভ্যান কিনে দেওয়া হয়েছে এবং ভ্যানের উপরেই তৈরি করে দেওয়া হয়েছে টিনের দোকান।
আরও পড়ুন: শিক্ষা দিল গুজরাত! রাজ্যের ঝুলন্ত ব্রিজ, উড়ালপুলগুলি নিয়ে তড়িঘড়ি রিপোর্ট তলব নবান্নের
টিনের ছাউনি ঘেরা সেই ভ্যানে করেই মিষ্টি বয়ে নিয়ে যান বাপি। পরিশ্রমের বিনিময়ে মেলে বেতন। পরবর্তীতে এই দোকান করে ঘুরে ঘুরে মিষ্টি বিক্রিরও পরিকল্পনা রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে, লকডাউন পরবর্তী সময় এভাবে যে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস যোগাবে তা ভাবতে পারেননি খেটে খাওয়া এই ব্যক্তি। বর্তমানে এই কাজ করে আগের থেকে ভালোভাবেই সংসার চলে বলে জানান বাপি সাহা।রুদ্র নারায়ণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, North 24 Pargana news