বসিরহাটঃ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রা অনুষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগ সুন্দরবনে। এক সময় গ্রামে দেখা মিলত বিনোদনের প্রধান আসর যাত্রানুষ্ঠানের। কিন্তু দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির এককালের বিনোদনের প্রধান অনুষঙ্গ যাত্রাপালা। হাতের মুঠোয় বিনোদনের সহজলভ্যতা, অশ্লীল নৃত্য আর জুয়ার আবর্তে পড়ে বাঙালির লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য এই যাত্রাপালা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। একই কারণে উঠে যাচ্ছে সার্কাস-পুতুল নাচ। গ্রামের মেলাগুলিতেও এখন তেমন ভিড় জমছে না।
একটা সময়ে এই যাত্রাপালা দেখতে বহু মানুষ একজোট হতেন। মনসা দেবীর পূজা উপলক্ষে গ্রামবাংলায় যাত্রার মাধ্যমে ফুটে উঠতো বেহুলা-লখিন্দর, মহাভারত-সহ একাধিক গল্পকথা অনুসারে যাত্রানুষ্ঠান। কিন্তু স্মার্টফোনের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে যাত্রাপালার এখন আর প্রায় দেখতে পাওয়া যায় না বললেও ভুল হবে না।
তবে ঐতিহ্যের এই যাত্রাপালা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনও সুন্দরবন অঞ্চলের কিছু উদ্যোক্তারা আয়োজন করেন যাত্রানুষ্ঠান। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহাকুমার সুন্দরবন অঞ্চলের আমবেড়িয়াতে দেখা মিলল ঐতিহ্যবাহী যাত্রা অনুষ্ঠানের।
আরও পড়ুন: রাতে চুপিচুপি কারা আসছে? ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ক্ষেত! আজব কাণ্ড আলিপুরদুয়ারেকিন্তু আগের মতো গ্রাম বাংলায় এখন আর সন্ধ্যা নামলেই মেলা থেকে লাউড স্পিকারে আর ভেসে আসে না- ‘হৈ হৈ কান্ড, রৈ রৈ ব্যাপার। যাত্রাপালা দেখার জন্য দর্শকদের মধ্যে তেমন শিহরণ জাগেনা। তবুও বাংলার কৃষ্টি আর ঐতিহ্যকে ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা যাত্রা শিল্পীদের। মেলা উপলক্ষ্যে জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যঢুকে পড়ায় সাধারণ দর্শকরা যাত্রাপালা থেকে বিমুখ হয়েছে। তবে সুস্থ যাত্রাপালা হলে দেখতে এখনও দর্শকের অভাব হবে না বলে মনে করছেন অনেকেই।
জুলফিকার মোল্যা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।