#উত্তর ২৪ পরগনা : সল্টলেক ও নিউ টাউনের বাতিস্তম্ভের খোলা তারে তৈরি হচ্ছে বিপদের আশঙ্কা। বাতিস্তম্ভ গুলিতে খোলা তার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পথ চলতি মানুষ। প্রশাসন ও পুরসভার পক্ষ থেকে বাতি স্তম্ভ, ফিডার বক্স, মিটার বক্স, চার্জিং ষ্টেশন গুলিতে খোলা তার, ইলেকট্রিক প্ল্যাগ, সুইচ বক্স পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দফতরের বিদ্যুৎ কর্মীদের দ্বারা।যদিও সল্টলেক ও নিউটাউন সংলগ্ন এলাকায় খোলা তার থেকে যে কোন দিন বড় বিপদ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবী, স্মার্ট সিটি নিউটাউনে বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট সবকিছুর তারই অদৃশ্য। কারণ, সবটাই মাটির তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যন্য জায়াগার মত এখানে খোলা আকাশের নিচে বিদ্যুৎবাহী তারের দেখা মেলা মুশকিল। কিন্তু যখনই স্ট্রিট লাইট, ফিডার বক্স কিংবা চার্জিং ষ্টেশনের দিকে চোখ যাবে তখনই দেখা মিলবে খোলা তারের আতঙ্ক। অনেক জায়াগায় গত বর্ষাতে সেলো টেপ দিয়ে বাতি স্তম্ভের ঢাকনার জায়গা আটকানো হলেও, একবছরে সেগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক বেড়েছে।
বিশেষ করে অ্যকশন এরিয়া ওয়ান এর এবি, বিসি, সিডি, অক্সিস মল, একশন এরিয়া টু এর ইকো পার্কের রিং রোড, সিটি সেন্টারের পিছনের রাস্তা, আকাঙ্ক্ষা মোড়ের কাছে, নবাবপুর এলাকা এবং একশন এরিয়া থ্রি এর সাপুরজি আবাসনের সামনে, কাঁঠালবেড়িয়া সার্ভিস রোডে একাধিক স্ট্রিট লাইটের পোষ্ট থেকে খোলা তার উঁকি দিচ্ছে। একই অবস্থা সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায়। সেক্টর ফাইভ তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে সবচেয়ে বেশি তারের জাল। এছাড়া এ ই মার্কেট, ডি এল ব্লকের সার্ভিস লেন ডিভাইডার, সিটি সেন্টার থেকে লাবনী যাওয়ার রাস্তা, অরুনাচল ভবনের সামনের রাস্তাও এই একই ছবি ধরা পড়বে।
আরও পড়ুনঃ নিমেষেই পৌঁছে যাওয়া যাবে জেলা সদরে! সুন্দরবনের সঙ্গে যোগাযোগ এবার আরও দ্রুতএলাকাবসীর আশঙ্কা, বর্ষা নেমে গেছে।ভারী বর্ষনে সল্টলেক ও নিউটাউনের বহু রাস্তা, ফুটপাথ জলে ডুবে যায়। তখন ল্যাম্প পোষ্টের খোলা তার জমা জলে ডুবে গেলে যে কেউই বিদ্যুৎপৃষ্ট হতে পারেন। তা থেকে বাঁচতে বিধানগর পুর নিগম ও এনকেডিএ কে ব্যবস্থা নিতে হবে দ্রুত। বাতি স্তম্ভে খোলা তারের জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরের উদাসীনতাকে দায়ী করা হয় সবচেয়ে বেশি। সমগ্র সল্টলেক ও নিউটাউনে বিদ্যুৎ পরিষেবার দায়িত্বে আছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা। কিন্তু স্ট্রিট লাইট, পার্ক, প্লে গ্রাউন্ড, পার্কিং লটে আলোর দায়িত্বে বিধাননগর পুর নিগম, নবদিগন্ত, এনকেডিএ ও হিডকো।
আরও পড়ুনঃ রথযাত্রায় বিনামূল্যে পাপড় ভাজা খাওয়ার লাইন মধ্যমগ্রামেসল্টলেকের বাসিন্দা সুচিস্মিতা পালের বক্তব্য, ‘বর্ষায় বহু জায়গায় খোলা তার থেকে বিপদ হতে পারে। আমরা আতঙ্কে আছি।‘ নিউটাউনের বাসিন্দা রুমা ভট্টাচার্য্য বলেন, নিউটাউনের জমা জলে অনেক সময় ইলেকট্রিক পোলের গোড়া ডুবে যায়। সেখানে খোলা তার বা ফিডার বক্স থাকলে যেকোন সময় বড় বিপদ হতে পারে।বিদ্যুৎ দফতরের দিকে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংস্থার আধিকারিকরা। রাজ্য বিদ্যু বন্টন সংস্থার নিউটাউনের দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক বলেন, ফিডার বক্স, স্ট্রিট লাইট পোষ্টে বারবার ঢাকনা লাগালেও তা চুরি হয়ে যাচ্ছে। অগত্যা সেলোটেপ লাগাতে হচ্ছে। তবে এসব নিয়ে পদক্ষেপ করছে পুর নিগম ও এনকেডিএ। এক আধিকারিক জানান, এ ব্যাপারে হিডকো, এনকেডি, বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা সব পক্ষের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। দুর্ঘটনা রুখতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তা করা হয়েছে।
Rudra Narayan Royনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Newtown, North 24 Parganas, Saltlake