#উত্তর ২৪ পরগনা: গ্রীষ্মের দাবদাহে এমনিতেই অস্থির জন জীবন, পাশাপাশি জলের আর এক নামও জীবন। কিন্তু সেই জলই এখন দুর্মূল্য পানিহাটিতে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। গত কয়েকদিন ধরে পানিহাটি পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ তীব্র জলকষ্টে ভূগছেন। সব জেনেও কার্যত নীরব পানিহাটি পুরসভা। বিশেষ করে পানিহাটির পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত আগরপাড়া ইলিয়াস রোডের বাসিন্দারা নিত্য দিন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ পানীয় জল না পাওয়া নিত্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাইম কলের জলের ওপর নির্ভর করেন তারা, অথচ টাইম কলে জলের পরিসেবা প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। সারাদিনে আধ ঘন্টার জন্য জল আসলেও, সরু সুতোর মত জল পরে। পানীয় জল থেকে নিত্য নৈমিত্তিক কাজের জন্য পর্যাপ্ত জল না মেলায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা । বাসিন্দাদের অভিযোগ বিগত কয়েক দিন ধরে পানীয় জলও তারা ঠিকমত পাচ্ছেন না। পৌরসভার টাইম কলের জল সরবরাহ হলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম।
পুরসভা মাঝেমধ্যে একটি করে জলের গাড়ি পাঠিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। সকাল থেকেই সেখানে লম্বা লাইন দিয়ে জল নিতে হচ্ছে এবং লাইনে দাঁড়িয়েও পর্যাপ্ত জল না পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন মানুষজন। ফলে পানীয় জল থেকে শুরু করে, বাড়ির যে কোন কাজের জন্য যেন জলের হাহাকার পড়েছে এলাকা জুড়ে। বিষয়টি নিয়ে বাসিন্দারা পুর কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন। তারা চান পৌরসভা অবিলম্বে জল সমস্যার সমাধান করুক।
আরও পড়ুন: বস্তা কেটে পোশাক বানালেন উরফি জাভেদ! উঁকি দিচ্ছে স্তন! ভাইরাল টারজান-উরফি ভিডিও
জল কষ্টের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পানিহাটির পুরপ্রধান মলয় রায়। তিনি জানান, 'বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। শুধু মাত্র ৬ নম্বর ওয়ার্ড নয় ৫, ৭, ১৩, ১৫, ১৯, ২৮, ২৯, ৩০ নম্বর সহ আরো বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে এই জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ঠিক কি কারণে জলের সমস্যা হচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অনুমান করা হচ্ছে জলের লেয়ার কমে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত যাতে সমস্যার সমাধান করা যায় সেবিষয়টি পৌরসভা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে'। কবে এই পরিস্থিতির বদল ঘটে এখন সেই অপেক্ষায় পানিহাটিবাসি।
রুদ্র নারায়ণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bangla News, Panihati, Water Crisis