উত্তর ২৪ পরগনা: শুধু ভার্চুয়ালি নয়, বাস্তবেও পালন করতে হবে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী , বলছেন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিষ্ট্রেস অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি। তবেই নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বৃদ্ধি পাবে সাংস্কৃতিক চেতনা।
শিক্ষক চন্দন মাইতি বলেন, বাঙালিদের জীবনে ২৫ বৈশাখ এবং ১১ জৈষ্ঠ্য, দু’টি এমন দিন যার কোনও তুলনা হয় না। দিন দু’টি যথাক্রমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন। অতীতে পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যা ছিল বৈশাখ মাসের অন্যতম সেরা আকর্ষন।
মাসখানেক ধরে টানা রিহ্যার্সাল এর পরে সন্ধ্যায় ওই একটা দিন বাঙালি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করত। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়েও রবীন্দ্র-নজরুল জন্ম জয়ন্তী পালন ছিল অন্যতম সেরা আয়োজন। প্রত্যেক ছাত্র – ছাত্রী তাঁর অন্তরের সাংস্কৃতিক চেতনাকে বাস্তবের রূপ দেওয়ার প্রথম সোপান হিসেবে বেছে নিত বিদ্যালয়ে পালিত রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীকে।
আরও পড়ুন, কোথায় ঘূর্ণিঝড় মোকা! তীব্র গরমে পুড়ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ, রইল আবহাওয়ার আপডেট
আরও পড়ুন, ঘুমের মধ্যে কেঁপে উঠল বাড়ি! কাকভোরে প্রবল ভূমিকম্প, আতঙ্কে রয়েছেন সকলে
কিন্তু বিগত প্রায় পাঁচ বছর ধরে এক দিকে করোনা, অন্য দিকে হঠাৎ করে ঘোষিত ‘অপরিকল্পিত গরমের ছুটি’ এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ছাত্রজীবন থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বলেও মত চন্দন মাইতি-সহ অন্যান্য শিক্ষকদের।
করোনাকালে সরকারী উদ্যোগে কোনও বছর ভার্চুয়াল রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনের উদ্যোগ দেখা গেলেও ‘অতিরিক্ত গরমের ছুটি’র সময় তারও কোনও প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। সামাজিক অবক্ষয়ের চরম সময়ে এক দিকে যখন ছাত্রছাত্রীরা ক্রমশ শিক্ষাঙ্গন থেকে নানা কারণে দূরে সরে যাচ্ছে, তেমনই নাবালিকা বিবাহ, মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি বাড়ছে তখন রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী পালনের মতো সাংস্কৃতিক উৎসবগুলির অভাব খুব বেশি করে অনুভূত হচ্ছে বলেও জানান চন্দন বাবু।
চন্দনবাবু বলেন, “রবীন্দ্রনাথ নজরুল আমাদের জীবনে মরণে সবকিছুর সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের স্থান শুধু রাস্তার ট্রাফিক সিগন্যালে মাইকের গানে নয়, তাঁদের অবস্থান সমগ্র বাঙালির হৃদয়ে।”
রুদ্র নারায়ণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।