#লখনউ: উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে নোট বাতিলের কী প্রভাব পড়তে চলেছে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন মহলে ৷ কিন্তু শনিবার উত্তরপ্রদেশের ফল ঘোষণার পর এটা পরিষ্কার যে নোট বাতিলের কোনও প্রভাবই পড়েনি নির্বাচনে ৷
উত্তরপ্রদেশে ঐতিহাসিক ফল বিজেপির। এগিয়ে থাকার নিরিখে ম্যাজিক ফিগার পার করল গেরুয়াশিবির। ধুয়ে-মুছে সাফ বিরোধীরা। মুখ থুবড়ে পড়ল রাহুল-অখিলেশ জোট। প্রায় সব বুথফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করেই উত্তরপ্রদেশে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে বিজেপি। কংগ্রেস ও সপা-র জোট এখনও পর্যন্ত তিন অঙ্কও ছুঁতে পারেনি। তিরিশের ঘরে ঘোরাফেরা করছেন মায়াবতীও। ১৯৯১ সালে ২২১টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। তখন মুখ্যমন্ত্রী হন কল্যাণ সিং। কিন্তু, এবার সেই ফলাফলকেও পিছনে ফেলে দেওয়ার সম্ভাবনা। তিনশোর গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে বিজেপি।অন্যদিকে কংগ্রেসকে হটিয়ে উত্তরাখণ্ডেও মোদী ম্যাজিক।
বিজেপির এই ঐতিহাসিক ফলাফল কীভাবে? সপা-র যাদব ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়েছে বিজেপি। ৩৩টি যাদব অধ্যুষিত আসনে এগিয়ে বিজেপি। দলিত ভোটব্যাঙ্কও দখল করেছে বিজেপি। দলিত অধ্যুষিত ৬৪টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। সংঘ্যালঘু অধ্যুষিত ৪২টি আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির।
বিজেপির এই ঐতিহাসিক জয়ের পিছনে নোট বাতিলের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে বলেও মনে করছে ওয়াকিবহল মহল ৷
৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই সময় বিরোধীরা দাবি করেছিলেন এই সিদ্ধান্তের খেসারত আগামী নির্বাচনে দিতে হবে বিজেপি-কে ৷ কিন্তু ফল ঘোষণার পর চিত্রটা একদমই বদলে গিয়েছে ৷
এর আগে চণ্ডীগড় পুরসভার নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিল বিজেপি ৷ এবছরের শুরুতে ওড়িশা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩০৬টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি ৷ মহারাষ্ট্র পুরসভা নির্বাচনেও বিজেপি ভালো ফল করেছিল ৷
নোট বাতিলের জেরে সাধারণ মানুষকে হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছিল ৷ তা সত্ত্বেও কোনও নির্বাচনেও তার সেরকম প্রভাব কেন পড়েনি ?
এর মূল কারণ বিজেপি সাধারণ মানুষকে বোঝাতে সফল হয়েছে যে এই পদক্ষেপ কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষকে ধরার জন্য ও দেশের অর্থনীতি থেকে কালো টাকা দূর করার জন্য ৷ এর জেরে লাভবান হবেন সাধারণ মানুষই ৷ নোট বাতিলের জেরে ভবিষ্যতে উপকার পাবেন দেশের সাধারণ মানুষ ৷