হোম /খবর /দেশ /
মেয়েরা দিনে হাসেন ৬২ বার, আর ছেলেরা? চমকে দিচ্ছে গবেষণার তথ্য

মেয়েরা দিনে হাসেন ৬২ বার, আর ছেলেরা? চমকে দিচ্ছে গবেষণার তথ্য

মেয়েরা দিনে হাসেন ৬২ বার, আর ছেলেরা? চমকে দিচ্ছে গবেষণার তথ্য!

মেয়েরা দিনে হাসেন ৬২ বার, আর ছেলেরা? চমকে দিচ্ছে গবেষণার তথ্য!

বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলে এই ফারাক প্রায় তলানিতে এসে ঠেকে

  • Share this:

#ওয়াশিংটন: একজন ছেলের থেকে একজন মেয়ের সাধারণ ভাবে দিনে হাসির পরিমান প্রায় আটগুণ বেশি। সাধার ণভাবে একজন ছেলে যেখানে দিনে আটবার হেসে থাকেন, একজন মেয়ের হাসির পরিমাণ সেখানে প্রায় ৬২। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ( Yale University) একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চমকপ্রদ তথ্য। মুখ্যত ছেলে ও মেয়েদের হাসির সংখ্যার মধ্যে এই পার্থক্য সব থেকে বেশি প্রকট হয় তাদের টিন-এজে। যেখানে এই দুই লিঙ্গের মধ্যে নিজেদের বহিঃপ্রকাশের মাত্রায় এক তীব্র ফারাক থাকে। গবেষণা মতে, এই ফারাক বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে উঠতে থাকে। বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলে এই ফারাক প্রায় তলানিতে এসে থাকে৷

কিন্তু এই পার্থক্যের কারণ কী? গবেষণায় জানা গিয়েছে, একজন ছেলের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাস্যপেশিগুলির বিবর্তন হতে থাকে। সংকোচন ও প্রসারণের ক্ষেত্রে এই পেশিগুলির অনুকুল হওয়ার বিষয়টিও ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়। অপর দিকে, মহিলাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু আলাদা। একজন মহিলা জন্মের সময় থেকেই একজন পুরুষের চেয়ে তুলনামূলক সচল মাংশপেশির অধিকারী। শারীরবৃত্তীয় কারণ ছাড়াও রয়েছে নানাবিধ সামাজিক কারণ। সমাজে প্রতিষ্ঠিত লিঙ্গবৈষম্যের কারণেও ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে হাসির তারতম্য দেখা যায়। খুব ছোট থেকেই একজন মেয়েকে শেখানো হয়ে থাকে আবেগ ও সহমর্মিতা। ফলত অচিরেই এবং খুব সহজেই তারা নিজেদের প্রকাশ করে ফেলতে পারে৷

উল্টোদিকে একজন ছেলেকে একদম ছোট বয়স থেকেই দায়িত্ব নিতে শেখানো, তার মধ্যে 'পুরুষালি' ভাবভঙ্গি তৈরি করার যে প্রচেষ্টা, তা তাদের সহজাত অনুভূতিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মেয়েদের ক্ষমতার জায়গা থেকে দূরে রাখার যে প্রচেষ্টা তাও তাদের সঙ্গে ছেলেদের পার্থক্য তৈরি করতে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। ঠিক যে কারণে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাসির এই পার্থক্য ক্রমশ কমতে থাকে। গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে যে, পুরুষ ও নারী বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যদি সমাজে এক পদ, এক দায়িত্ব কিংবা একই সামাজিক স্তরে অবস্থান করে থাকে, তবে তাদের মধ্যে এই পার্থক্য কমে থাকে। যদিও একথা প্রণিধানযোগ্য যে, গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, যে কোনও কঠিন পরিস্থিতে মহিলারা অনেক বেশি স্বাভাবিক ভাবে আচরণ করে থাকেন। তাঁরা হাসিমুখে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারেন, একজন পুরুষের তুলনায়।

গবেষণা অনুযায়ী একজন মহিলা পুরুষের থেকে তার জীবনে অনেক বেশি হেসে থাকেন। যদিও তার মানে এটা নয়, যে তারা পুরুষের চেয়ে জীবনে বেশি সুখী অথবা খুশি। এই হাসির নির্দিষ্ট সামাজি-রাজনৈতিক কারণ আছে বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

Published by:Rukmini Mazumder
First published:

Tags: Women