#বর্ধমান: মহিলাকে মাঝরাতে নদীর ধারে নিয়ে গিয়ে গলার নলি কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হল! নাকি খুন করার পর মহিলার মৃতদেহ নদীর ধারে ফেলে গেল আততায়ীরা! ধন্ধে পুলিশ। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বর্ধমান জুড়ে। শুক্রবার সকালে বর্ধমানের জামনায় এক মহিলার গলার নলি কাটা মৃতদেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা বলছেন, জামনা গ্রামের বাসিন্দারা আঠাশ তিরিশবছর বয়সী ওই মহিলাকে চেনেন না। তাই ওই মহিলা স্থানীয় নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। মধ্যরাতে ওই মহিলাকে নদীর ধারে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। আবার অন্য কোথাও খুন করে মৃতদেহ এখানে ফেলে যাওয়া হতে পারে। এখন সবচেয়ে আগে ওই মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পরিচয় পাওয়া গেলে খুনের কারণ জানতে পারা বা ঘটনায় জড়িতদের হদিশ পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সেখ নিয়ামত আলি বলেন, মহিলার গলায় গভীর ক্ষত রয়েছে। তাই ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে তাকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই খুন হয়েছে গভীর রাতে। রাত বারোটা পর্যন্ত এখানে লোক চলাচল করে। গত রাতে কোন মহিলা বা সন্দেহজনক কাউকে দেখেননি কেউই। এই মহিলা স্থানীয় নয়। অনেকেই মৃতদেহ দেখেছেন, তবে কেউই তাকে আগে দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না।
বাসিন্দা আনসার সেখ বলেন, একেবারে নদীর ধারে মহিলা মৃতদেহ পড়েছিল। হয়তো আততায়ীরা নদীতে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিল। কোনও কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহার পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি হেডকোয়ার্টার শৌভিক পাত্র,এসডিপিও (সাউথ) আমিরুল ইসলাম খান, সিআই সঞ্জয় কুণ্ডু ও রায়না থানার ওসি পুলক মণ্ডল। ডিএসপি হেডকোয়ার্টার শৌভিক পাত্র বলেন মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। নাম না পরিচয় জানা যায় নি।তবে পুলিশ পরিচয় জানার জন্য খোঁজ খবর শুরু করেছে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।