#আগরতলা: স্বামীকে খুন (Murder) করে মুণ্ডচ্ছেদ করল স্ত্রী৷ তার পরে স্বামীর সেই কাটা মাথা প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে বাড়ির মন্দিরে রেখে দিল অভিযুক্ত৷ শনিবার ভোররাতে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ত্রিপুরার (Tripura) খোয়াই জেলায়৷
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহত ব্যক্তির বয়স ৫০ বছর৷ খোয়াই জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, খুনের কারণ এখনও পরিষ্কার নয়৷ যদিও অভিযুক্তের ছেলের দাবি, তাঁর মায়ের বেশ কিছু দিন ধরেই মানসিক কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছিল৷ চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানীয় একজন ওঝার কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে অভিযুক্ত৷
আরও পড়ুন: মধুচন্দ্রিমায় মারণ 'সেলফি', হিমাচলের সুইসাইড পয়েন্টে খাদে পড়ে মৃত্যু দমদমের নববধূর
ঘটনার পরই ৪২ বছর বয়সি অভিযুক্ত মহিলাকে ইন্দিরা কলোনির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ পেশায় দিন মজুর রবীন্দ্র তাঁতি এবং দুই নাবালক ছেলেকে নিয়ে থাকত ওই মহিলা৷
আরও পড়ুন: গ্রেফতার আরও দুই, হরিদেবপুরের নৃশংস হত্যার রহস্য ফাঁস
অভিযুক্তের বড় ছেলে জানিয়েছে, 'আমার মা বরাবর নিরামিষাসী ছিল৷ কিন্তু গতকাল রাতে হঠাৎই মুরগির মাংস খায় মা৷ এর পর আমরা সবাই ঘুমোতে চলে যাই৷ হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখি আমার বাবা মাথা কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে৷ তখনই মার হাতে রক্তে ভেজা দা দেখতে পাই আমি৷ আমরা চিৎকার করতেই মা ঘর থেকে ছুটে গিয়ে বাবা মাথা মন্দিরের ভিতরে রেখে দেয়৷'
এর পর থেকেই ওই মহিলা নিজেকে একটি ঘরে বন্দি করে রাখে৷ পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে৷
জেলার পুলিশ সুপার সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানায়, 'আমরা দেহ উদ্ধার করেছি এবং মহিলাকে গ্রেফতার করেছি৷ তদন্ত শুরু হয়েছে৷' ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা৷ যদিও মহিলার সত্যিই মানসিক বিকৃতি ঘটেছিল কি না, ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়া সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ সুপার৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।