#নয়া দিল্লি: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে এবারের বাজেট এমন হবে যা অতীতে কখনই প্রত্যক্ষ করা যায়নি। সঙ্গত কারণেই সবাই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে সেই দিকে। এর মাঝে বিশেষজ্ঞদের মতামতে বার বার উঠে আসছে দেশের শিল্প, কৃষি এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকারি সাহায্যের কথা। কেন না, এই তিনটি কোনও এক দেশের উন্নয়নে পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। কিন্তু একই সঙ্গে একটি পরিবেশবান্ধব দেশ গড়ে তোলাও যে অত্যন্ত জরুরি, সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন CSTEP-এর একজিকিউটিভ ডিরেক্টর ডক্টর জয় আসুন্দি। সেই প্রসঙ্গে নিচের বিষয়গুলো নিয়ে সরকারকে চিন্তাভাবনার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
১. এই প্রসঙ্গে ডক্টর আসুন্দি সবার প্রথমে জোর দিয়েছেন সৌরশক্তি সম্পর্কিত ক্ষেত্রটিতে। তিনি জানিয়েছেন যে দেশ যত বেশি পরিমাণে সৌরশক্তির উপরে নির্ভরশীল হতে পারবে, তত বেশি করে তা পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে। তাঁর বক্তব্য সরাসরি ভাবে সোলার প্যানেলের উৎপাদনের বিষয়টিকে তুলে ধরে। এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পের পরিকাঠামোগত দিকটি নিয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা করা উচিৎ, জানাচ্ছেন তিনি।
২. অর্থমন্ত্রকের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিকের বক্তব্যে এর আগে জানা গিয়েছে যে এবারের বাজেটে নানা অটো পার্টস আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হবে। যা দেশীয় শিল্পে পণ্য উৎপাদনের সহায়ক হয়ে উঠবে। এই সূত্র ধরে ডক্টর আসুন্দির বক্তব্য- এক্ষেত্রে ইলেকট্রিক পরিবহন শিল্পের দিকে সরকারের নজর না দিলেই নয়। কেন না, জ্বালানির খরচ ক্রমবর্ধমান। যা দেশের জনসাধারণের পক্ষে একটি সমস্যার বিষয়। অন্য দিকে, এই শিল্পে যদি উৎসাহ দেওয়া যায়, তা হলে পরিবেশও সুরক্ষিত থাকে।
৩. কিন্তু সোলার প্যানেল থেকে যে শক্তি পাওয়া যাবে, তা বড় মাপের শিল্প উৎপাদনের পক্ষে পর্যাপ্ত নয়। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং তার সরবরাহের বিষয়টি মাথায় রাখতেই হবে। ডক্টর আসুন্দি বলছেন যে বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলির অবস্থাও খুব একটা ভালোর দিকে নয়। তাই দেশকে উন্নত করে তুলতে হলে এই ক্ষেত্রে সরাসরি সরকারি অনুদান এবং কর ছাড়ের বিষয়টি প্রযোজ্য হওয়া উচিৎ!
৪. আত্মনির্ভর ভারত যদি গড়ে তুলতেই হয়, তবে সায়েন্স, টেকনোলজি এবং ইনোভেশনের উপরে জোর দিতেই হবে। এই সংক্রান্ত যে প্রকল্পগুলি এর আগে গ্রহণ করেছে সরকার, তার পূর্ণমাত্রায় বাস্তবায়নে এবার উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডক্টর আসুন্দি। যা এই ক্ষেত্রগুলিতে সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ানো ছাড়া সম্ভব নয়।