#নয়া দিল্লি: ১ ফেব্রুয়ারির অপেক্ষা দেশবাসীর। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। কোন খাতে কত বরাদ্দ হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। ট্যাক্সে ছাড়, বিনিয়োগ থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় নিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু স্ট্রেসড অ্যাসেটের সমাধান হবে কী ভাবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা!
এবারের বাজেটে অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডস বা AIFs-এ অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে আশা করছেন Kotak Mahindra Bank-এর MD ও CEO উদয় কোটাক (Uday Kotak)। তাঁর কথায়, স্ট্রেসড অ্যাসেটের সমাধানে এই অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডস ব্যাড ব্যাঙ্ক সিস্টেম হিসেবে কাজ করবে। এখানেই প্রসঙ্গ উঠে আসে ব্যাড ব্যাঙ্কের। উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের জেরে ২০২০ সাল দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টরের জন্য অত্যন্ত কঠিন সময় ছিল। তবে সবাই এক হয়ে লড়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এর মাঝেই দেশের ব্যাঙ্কগুলির উপর NPA-এর বোঝা ক্রমে বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার একটি ব্যাড ব্যাঙ্ক সিস্টেম আনার কথা ভাবছে। ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে এই মুহূর্তে NPA-র মোট পরিমাণ ৮.৫ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমান, মার্চ মাস পর্যন্ত এই NPA-র পরিমাণ বেড়ে ১২.৫ শতাংশ হয়ে যাবে। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে এই পরিসংখ্যান ১৪.৭ শতাংশের কাছেও পৌঁছাতে পারে। এক্ষেত্রে জমা সম্পত্তি ফেরত আনার ক্ষেত্রে এগ্রিগেটর হিসেবে কাজ করে এই ব্যাড ব্যাঙ্ক সিস্টেম। অর্থাৎ এই ব্যাড ব্যাঙ্ক সিস্টেমের সাহায্যে ব্যাঙ্কগুলির উপর থেকে NPA-র বোঝা কমানো যেতে পারে। তাই সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আসন্ন বাজেটে এ নিয়ে পদক্ষেপ করতে পারে অর্থমন্ত্রক।
অন্য দিকে, স্ট্রেসড অ্যাসেট কেনা নিয়ে ১০ বিলিয়ন ফান্ড তোলার কথা জানিয়েছেন Vedanta-র কর্ণধার অনিল আগরওয়াল (Anil Agarwal)। পাশাপাশি আসন্ন বাজেটে বিনিয়োগ টানার উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, এক্ষেত্রে ডিউটি-ট্যাক্স তথা শুল্ক বা করে ছাড় দিতে হবে। ২০ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করা উচিৎ সরকারের। এর জেরে প্রচুর মানুষ এই ক্ষেত্রের প্রতি আকর্ষিত হবেন।
অন্য দিকে বিশেষজ্ঞ লতা ভেঙ্কটেশ জানাচ্ছেন, স্ট্রেসড ফান্ড কেনার জন্য হয় তো প্রাইভেট সেক্টরগুলিকে অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডসের পথে হাঁটতে হবে। এক্ষেত্রে আসন্ন বাজেটে এই বিষয়ে অনুমোদন দিতে হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে স্ট্রেসড অ্যাসেট বা লোন কিনতে পারে না অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডস বা AIF। কারণ, SEBI-র তরফে শুধুমাত্র সিকিওরিটি কেনার উপরে অনুমোদন রয়েছে। এক্ষেত্রে AIF-কে অ্যাসেট বিক্রি করা নিয়ে ব্যাঙ্কগুলিকে অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম তৈরি করতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।