#কোঝিকোড়: পাইলট যা নির্দেশ দেবেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে, এমনটাই নিয়ম। তাই ভারতীয় বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার দীপক বসন্ত সাঠে যখন দু'বার ব্যর্থ হয়েও শেষমেশ অবতরণের সিদ্ধান্ত জানান, নিজের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন তাঁর কো-পাইলট অখিলেশ কুমার। তার পরের ঘটনা এখন গোটা দেশের নখদর্পনে। কোঝিকোড়ের বিমান দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে ২০ টি তাজা প্রাণ। তার মধ্যে রয়েছেন বিমানচালক দীপক বসন্তে সাঠে ও কো-পাইলট অখিলেশও। অখিলেশের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। শুক্রবার সন্ধের ঘটনায় চোখের পলকে সব স্বপ্ন শেষ তাঁর।
এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন অখিলেশের ভাই বাসুদেব। তিনিই জানান, "আমার বউদি সন্তানসম্ভবা, আগামী ১৫-১৭ দিনের মধ্যেই তিনি প্রসব করবেন। আমাদের যে কতবড় ক্ষতি হল তা বোঝাতে পারব না।"
কান্নায় ভেঙে পড়েন অখিলেশের ভাই, গলার স্বর বুঝে আসে, তবু বলে চলেন, "দাদা খুব নম্র স্বভাবের ছিলেন। বছর তিনেক আগে তিনি এয়ার ইন্ডিয়ায় যোগ দেন। শেষবার বাড়ি এসেছিলেন লকডাউন শুরু হওয়ার আগে। তারপর টানা বন্দে ভারত মিশনের কাজ করে গিয়েছেন।"
কোঝিকোড়ের দুর্ঘটনা সামনে আসতেই একাধিক তত্ত্ব সামনে আসছে। কেউ বলছেন টেবলটপ তত্ত্বের কথা, কেউ আবার পাইলটের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। কিন্তু এনডিআরএফ- এর ডিজি এস এন প্রধানের কথায় পরিষ্কার, নিজে মরে বহু মানুষকে বাঁচিয়ে দিয়ে গিয়েছেন এই পাইলট এবং কো পাইলট।
এনডিআরএফ-এর ডিজি বলছেন, দুর্ঘটনার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বিমানের গতি কমানোর একাধিক চেষ্টা করেন পাইলট দীপক বসন্ত সাঠে৷ শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনা এড়ানো না গেলেও বিমানের গতি কমে যাওয়ায় আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে৷ একই সঙ্গে তিনি বলছেন, ইঞ্জিন বন্ধ করায় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়নি। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বদ্ধ বিমানে আগুন লেগে গেলে কাউকেই বাঁচানে সম্ভব হত না বলেই মনে করছেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।