#নয়াদিল্লি: দিল্লি নির্বাচনে প্রচারের অভিমুখ ধীরে ধীরে শাহিনবাগকে কেন্দ্র করে জোরদার হচ্ছে৷ এ বার দিল্লি নির্বাচনের আবহে ঢুকে পড়ল শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম মুখ শরজিল ইমাম প্রসঙ্গও৷ সোমবারও মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে 'টুকরে টুকরে গ্যাং' আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ তার জবাবে কেজরিওয়ালের সওয়াল, কেন বিজেপি সরকার এখনও শরজিল ইমামকে গ্রেফতার করছে না৷
এ দিন দিল্লির রিঠালায় ভোটের প্রচার সভায় কেজরিওয়ালকে উদ্দেশ্য করে অমিত শাহ প্রশ্ন তোলেন, 'আমি কেজরিওয়ালকে জিগ্গেস করছি, আপনি কি শরজিল ইমামের পক্ষে না বিপক্ষে?' উত্তরে কেজরিওয়াল বললেন, 'শরজিল অসমকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ এটা খুবই খারাপ৷ আপনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ কেন গ্রেফতার করছেন না শরজিলকে? আসলে আপনি সস্তার রাজনীতি করছেন৷'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কেজরিওয়ালের কটাক্ষ, 'আপনার ডিউটি, ওকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা৷ দু দিন আগে শরজিল এই ধরনের কথা বলেছে৷ কেন আপনি ওকে গ্রেফতার করছেন না? কোথায় আটকাচ্ছে? নাকি আরও নোংরা রাজনীতি বাকি আছে?'
Union Home Minister Amit Shah in Rithala, Delhi: Kejriwal ji are you in favor of action against Sharjeel Imam or not? Are you in favor of those at Shaheen Bagh or not? Make it clear to the people of Delhi. #DelhiElections https://t.co/ZXvrQAoN1e
— ANI (@ANI) January 27, 2020
শাহিনবাগের বিক্ষোভে বক্তৃতা করে প্রচারে এসেছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শরজিল ইমাম। রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ৷ শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে শরজিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি হিংসায় উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছেন৷ সিএএ ও এনআরসি নিয়ে তিনি যে ধরনের বক্তব্য রেখেছিলেন, তা দেশদ্রোহিতার শামিল বলে ধারণা করছে পুলিশ। রবিবার শরজিল ইমামের একটি অডিও ক্লিপে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'অসমকে ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া উচিত এবং একটি শিক্ষা দেওয়া উচিত। কারণ হিন্দু ও মুসলমান বাঙালিদের নির্বিশেষে হত্যা করা হয়েছে বা ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে৷'
তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, তিনি যদি পাঁচ লক্ষ মানুষকে সংগঠিত করতে পারেন, তা হলে অসমকে গোটা ভারতের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতেন। যদি স্থায়ী ভাবে তা সম্ভব না হয়, তা হলে কয়েক মাসের জন্য তো বটেই।
জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্র শরজিল বিহারের বাসিন্দা। গত ১৩ ডিসেম্বর দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি বক্তৃতা দেন। পুলিশের অভিযোগ, সেখানে উত্তেজক বক্তব্য পেশের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়।