#নয়াদিল্লি: ১৬ মে ২০১৪ ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিল মোদি সরকার ৷ মোদির এই জয়ের পিছনে কালো টাকার বিরুদ্ধে পদক্ষের নেওয়ার আশ্বাসের একটি বড় ভূমিকা ছিল ৷ সমস্ত জায়গায় নির্বাচনী প্রচারে কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ এরপর থেকে বিভিন্ন সময় কালো টাকা ফিরিয়ে আনতে না পারার ব্যর্থতায় একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা ৷
এমনকী বাবা রামদেব যিনি মোদি সরকারকে সমর্থন করে থাকেন তিনিও কোলো টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর প্রশ্ন তুলেছেন ৷
তাই কালো টাকা বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে না পারলেও দেশে কালো ও জাল টাকা আটকাতে এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল ৷ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। কালো টাকা এবং জাল নোটের বিরুদ্ধেও নজিরবিহীনভাবে অপারেশন চালালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কোনও আচমকা পদক্ষেপ নয়। কালো টাকার বিরুদ্ধে কোমর বেঁধেই নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী। যার প্রমাণ মিলল, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের কিছুক্ষণের মধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষণায়। শেয়ার বাজার বা সোনার বাজার বন্ধ হওয়ার পর ঘোষণাও সেই কৌশলেন অঙ্গ।
তবে জাল টাকা আটকাতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে ৷ যেমন টাকা লেনদেনের জন্য প্যান কার্ড জরুরি করে দিয়েছে সরকার ৷ আবার কখনও কোটি কোটি কালো টাকা ট্যাক্সের নামে সরকার জমা নিয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে ৷ কিন্তু এই অভিযোগ কখনই প্রমাণিত হয়নি ৷
৮ নভেম্বর সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে মোদি ৫০০ ও ১০০০ টাকা বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছে ৷ এতে যেমন কালো টাকা আটকানো যাবে তেমনি সীমান্তরেখা পেরিয়ে যে জাল নোট দেশে প্রবেশ করছে তাও আটকানো যাবে ৷