#অসম: সংঘাত চরমে। তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে তুমুল সংঘাত বেধেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তথা রাজ্য সরকারের। রাজ্যপাল ধনখড়ের কোচবিহার সফরকে ঘিরে আগেই চিঠি লিখে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। সেই চিঠিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যপাল ধনখড় সরকারি নীতি ও প্রোটোকল মেনে চলছেন না। এর পরই অবশ্য জবাব ধেয়ে এসেছিল রাজ্যপালের তরফে। মমতাকে চিঠিতে ধনখড় লেখেন, 'মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ, আপনার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করুন ৷ শপথ নেওয়ার পর সংবিধানের প্রতি আপনিও দায়বদ্ধ ৷' সেই চিঠির পর গতকাল কোচবিহারে গিয়ে চূড়ান্ত বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল। প্রথমে জোড়পাটকি ও পরে দিনহাটায় কালো পতাকা দেখানো হয় ধনখড়কে। এরপরই রাস্তায় নেমে পড়েন তিনি। আইসি-কে ধমক দিয়ে বলেন, 'যা খুশি তাই হচ্ছে, কোনও আইন নেই।' বাংলায় গণতন্ত্র নেই বলেও আক্রমণ শানান তিনি। আর এদিন, তিনি বিজেপি সাংসদ নীশিথ প্রামাণিককে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যান অসমের শ্রীরামপুরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে। বাংলার ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই বিজেপির দাবি ছিল, রাজ্যে ফল পরবর্তী হিংসার পর তাদের বেশ কিছু কর্মী অসমে আশ্রয় নিয়েছেন। রাজ্যপাল আজ তাঁদের সঙ্গেই দেখা করেন।
সেখান থেকেই রাজ্যপাল ফের তোপ দাগেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে। বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ, সংঘাতের পথ ছেড়ে সহযোগিতামূলক ও সাংবিধানিক অবস্থান গ্রহণ করুন। এতেই গণতন্ত্রের বিকাশ হবে। আইনের শাসন জোরদার করুন এবং মানুষের স্বার্থে কাজ করুন।' গতকালের কোচবিহারের কথা উল্লেখ করেও তিনি বলেন, 'আমাকে কোচবিহারে তৃণমূল নেতারা আটকাল। একজন রাজ্যপালের কনভয় আটকে দেওয়া হচ্ছে। এর চেয়ে ভয়ঙ্কর আর কী হতে পারে। জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে জানিয়েছি।'
While at Coochbehar DM @HomeBengal & SP @WBPolice @MamataOfficial remained non responsive & incommunicado, (a conduct least expected of members @IASassociation @IPS_Association ) at Ranpagli in Assam as per protocol Divisional Commissioner, Special DGP , DM and SP were present. pic.twitter.com/Yi9sbS7crs
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 14, 2021
স্বাভাবিক ভাবে বসে নেই শাসক দল তৃণমূলও। সাংসদ সৌগত রায়ের কটাক্ষ, 'উনি এসব করে কিছু করতে পারবেন না। উনি নিজেকে পালোয়ান ভাবলে কী হবে, উনি তো পালোয়ান নন। উনি বাক্যবাগীশ।' অপর সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের কথায়, 'রাজ্যপাল সমাজবিরোধীদের উস্কানি দিতে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উনি হিংসার ইন্ধন জোগাচ্ছেন। কুখ্যাত সাংসদ নিয়ে ঘুরছেন। ওনাকে বরখাস্ত করা উচিত। রাজ্যপাল কটা ঘরছাড়া দেখেছেন। এর চেয়ে উনি মালদায় গিয়ে নদীতে লাশ ভেসে আসা দেখতে পারতেন। এটা কি নমামি গঙ্গা প্রকল্পের অংশ। দেখুক ভারতের পক্ষে লজ্জার। রাজ্যপালের বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই। উচিত ক্যাম্প করে মালদায় বসা। বিজেপি আর রাজ্যপালের মধ্যে পর্দা উঠে গেছে।আগে এজেন্সি পাঠাত৷ এখন কমিশন পাঠাচ্ছে। বাংলার মানুষ বুঝে নেবে। তাদের ওপর ছেড়ে দিচ্ছে।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।