হোম /খবর /পাঁচমিশালি /
'দঙ্গল'এর উলটপুরাণ? কুস্তির আখড়ায় জীবনের লড়াই! অন্য কাহিনী লিখে ভাইরাল এই 'মা'!

Viral: 'দঙ্গল'এর উলটপুরাণ? কুস্তির আখড়ায় জীবনের লড়াই! অন্য কাহিনী লিখে ভাইরাল এই 'মা'!

অন্য কাহিনী লিখে ভাইরাল এই 'মা'

অন্য কাহিনী লিখে ভাইরাল এই 'মা'

Viral Inspiring story: রাজস্থানের আলওয়ারের কুস্তি প্রশিক্ষক এই মহিলা নিজেই এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন সকলের কাছে। আগামী দিনের কুস্তিগীরদের প্রস্তুত করছেন নিজের হাতে।

  • Local18
  • Last Updated :
  • Share this:

ভাইরাল : কুস্তিগীর— শুনলেই মনে হয় বিশালবপু কোনও বলবান পুরুষের কথা। কিন্তু আধুনিক ভারতের মেয়েরাও কুস্তির আখড়ায় নাম করছেন। এমন এক ব্যক্তিত্বের কথা জেনে নেওয়া যাক যিনি কুস্তির প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তিনি নিজে একজন মহিলা।

রাজস্থানের আলওয়ারের কুস্তি প্রশিক্ষক এই মহিলা নিজেই এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন সকলের কাছে। আগামী দিনের কুস্তিগীরদের প্রস্তুত করছেন নিজের হাতে। একই সঙ্গে তিনি সামলে চলেছেন নিজের পরিবারকেও।

আরও পড়ুন: ৩৬০০০ চাকরি বাতিলের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘নজিরবিহীন’ নির্দেশের মধ্যেই শিক্ষক বদলি! জেলায় জেলায় নির্দেশ পর্ষদের

আলওয়ারের ইন্দিরা গান্ধি স্টেডিয়ামে কোচ হিসেবে কর্মরত কুস্তিগীর অঞ্জনা শর্মার কথা এখন সারা দেশ জানে। অঞ্জনা আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। কিন্তু রাজস্থানের মাটির সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে গিয়েছেন যেমন ভাবে সন্তানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন মা। আলওয়ারের মেয়েদের কুস্তি শেখান তিনি, একেবারে মাতৃস্নেহে।

নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে, মহিলা কুস্তি প্রশিক্ষক অঞ্জনা শর্মা বলেন, ‘সাধারণত দেখা যায় যে মহিলারা মা হওয়ার পরে চাকরি ছেড়ে দেন। কিন্তু অন্য মেয়েদের কথা ভেবে আমি আমার কাজ ছেড়ে যাইনি। যেভাবে সংগ্রাম করে আজ আমি এই সম্মান অর্জন করেছি অন্য কোনও মেয়েকে যেন এত লড়াই করতে না হয়। ওরা যেন প্রাপ্য সম্মান আদায় করে নিতে পারে যোগ্যতা অনুযায়ী।’ এই ভাবনা থেকেই নিজের সংসার, সন্তান প্রতিপালনের পাশাপাশি আলওয়ারের মেয়েদের কুস্তি শেখান অঞ্জনা।

অঞ্জনা উত্তরপ্রদেশের মেরঠের একটি গ্রামের বাসিন্দা। সেই গ্রাম এমনই প্রত্যন্ত যে, প্রায় পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে গেলে তবে মেলে গাড়ির রাস্তা, জানান অঞ্জনা। তাই একেবারে প্রথম দিন থেকেই তাঁর জীবনে রয়েছে সংগ্রামের ইতিহাস। অঞ্জনা বলেন, ‘জীবনে অনেক ধরনের সমস্যা এসেছে, কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু কখনও হাল ছাড়িনি। আমার আবেগ আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। আমি আমার গ্রামের প্রথম মহিলা কুস্তিগীর যে আজ এই স্তরে পৌঁছেছে।’

আরও পড়ুন: দিঘায় বিরাট বিপদ…! উত্তাল সমুদ্রে নামতেই সংঘাতিক কাণ্ড! এই ভিডিও দেখলে শিউরে উঠবেন

মায়ের আশীর্বাদ—

আজ নিজের সন্তানের সঙ্গে আলওয়ারের মেয়েদেরও মায়ের মতো আগলাচ্ছেন অঞ্জনা। তাঁর বড় হওয়ার পিছনেও রয়েছে তাঁর মায়ের অবদান। অঞ্জনা বলেন, ‘আমার সাফল্যের পিছনে মায়ের সবচেয়ে বড় হাত রয়েছে। আমার মা সব সময় আমার পাশে থেকেছেন। আমার পরিবারও আমার স্বপ্ন পূরণে যথেষ্ট সাহায্য করেছে।’

তাই অঞ্জনা চান অন্য মেয়েরাও যেন এগিয়ে যেতে পারে। অঞ্জনার কথায়, ‘এখন আমার একটাই লক্ষ্য, প্রতিটি মেয়ে যেন আত্মনির্ভরশীল হয়ে কুস্তি করে।’

Published by:Sanjukta Sarkar
First published:

Tags: Mother, Viral News