#নয়াদিল্লি: রোটোম্যাক পেনের কর্ণধার বিক্রম কোঠারিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। গ্রেফতার তাঁর স্ত্রী সাধনা এবং ছেলে রাহুল কোঠারিও।প্রায় সাড়ে ৮০০ কোটিরও বেশি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ ৷ অবশেষে গ্রেফতার করা হল রোটোম্যাক কোম্পানির মালিক বিক্রম কোঠারি ৷ অভিযোগ দায়ের পরই সিবিআই গ্রেফতার করে রোটোম্যাক গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কোঠারিকে ৷ যদিও সরকারি সূত্রে গ্রেফতারির সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ৷ তবে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর পাসপোর্ট ৷
সিবিআই জানিয়েছে,সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন রোটোম্যাক কর্তা। সুদে আসলে তাঁর দেনার অঙ্ক সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে, বিক্রম,সাধনা ও রাহুল কোঠারির বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা করেছে ইডি ও সিবিআই।
নীরব মোদির পর বিক্রম কোঠারিরও পলাতক হওয়ার জল্পনা উঠেছিল ৷ কিন্তু, রবিবার রাতে তাঁকে কানপুরে এক বিয়েবাড়িতে দেখা যায়। এর পরেই সোমবার রোটোম্যাক কর্ণধার বিক্রম কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। একই সঙ্গে আটক করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী সাধনা আর ছেলে রাহুল কোঠারিকেও। ব্যাঙ্ক অব বরোদার করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতেই সিবিআই এ দিন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে নীরব মোদীর কোম্পানির কেলেঙ্কারি সামনে আসার এক সপ্তাহের মধ্যেই রোটোম্যাকের ঋণ দুর্নীতি সামনে আসে।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে জালিয়াতির রেশ কাটতে না কাটতেই সামনে এল আরও কয়েকশো কোটি টাকার জালিয়াতি ৷ সূত্রের খবর, রোটোম্যাক পেন কোম্পানির মালিক বিক্রম কোঠারি পাঁচটি সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকারও বেশি লোন নিয়েছিলেন ৷ এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক ও ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তাদের নিয়ম অনেকটাই শিথিল করে ঋণ দিয়েছিল বিক্রম কোঠারিকে ৷
ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক থেকে ৪৮৫ কোটি ও এলাহাবাদ থেকে ৩৫২ কোটি ঋণ নিয়েছিলেন কোঠারি ৷ কিন্তু একবছর পরও ঋণের আসল ও সুদ কোনওটাই দেননি কোঠারি ৷ বেশ কয়েকদিন ধরেই কানপুরে তার অফিস তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছেন ৷
প্রথমে অনুমান করা হচ্ছিল যে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ঋণ শোধ করেননি রোটোম্যাক কর্ণধার। এর মধ্যে কলকাতার এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ৩৫২ কোটি এবং মুম্বইয়ের ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের একটি শাখা থেকে ৪৮৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার সিবিআই জানিয়েছে,এযাত্রাতেও সাত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে গলে গিয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটির বেশি টাকা। অভিযোগ ওঠার পর থেকেই বিক্রম কোঠারির কোনও হদিশ মিলছিল না। তাঁর অফিসও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। রবিবার রাতে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটান রোটোম্যাক কর্তা নিজেই। এক বিবৃতিতে তিনি জানান-
এটা কোনও দুর্নীতি নয়। আমি কানপুরে রয়েছি। ব্যাঙ্ক আমার সংস্থাকে এনপিএ হিসাবে চিহ্নিত করেছে, কিন্তু আমি ঋণখেলাপি নই। ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রিবিউনালে বিষয়টি বিচারাধীন। আমি নিয়মিত ব্যাঙ্কগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। যে ঋণ আমি নিয়েছি খুব তাড়াতাড়ি তা শোধ করে দেব।এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে যে তারা কোঠারির সম্পত্তি বিক্রি করে টাকাটা তুলে নেবে বলে আশা করছেন ৷ এদিন কানপুরে রোটোম্যাকের একাধিক দফতরে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিক্রম কোঠারি,তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে সিবিআই ও ইডি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bank Fraud, Defaulter, Rotomac Pens MD, VIkram Kothari