#কলকাতা: গত কয়েক দিন রাজ্যে একের পর এক চিকিৎসকের মৃত্যু হচ্ছে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ছাত্রমহলে অত্যন্ত জনপ্রিয় দন্তচিকিৎসক ভাস্বর ভট্টাচার্য।
তাঁর মৃত্যু সংবাদে রাজ্যের দন্তচিকিৎসক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। হাওড়ার বাসিন্দা ৬৭ বছর বয়সী ভাস্কর ভট্টাচার্য্য দীর্ঘদিন শিয়ালদহ আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে চিকিৎসা ও অধ্যাপনা করেন। এরপর তিনি বর্ধমান ডেন্টাল কলেজে যোগদান করেন। অবসরের আগে পর্যন্ত সেখানেই তিনি বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।
বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন নামজাদা দন্তচিকিৎসকরা একদা তাঁর ছাত্র ছিলেন। প্রায় মাসখানেক হলো নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় সল্টলেক আমরি হাসপাতাল এ তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা তাঁর ছাত্র ছাত্রীরাই তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালান।
শেষ দিন পনেরো তাঁর শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক হয়ে যায়। একমো পদ্ধতি দ্বারা তাঁকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখা হয়। একমো হলো হার্ট লাঙ মেশিন,এক্সট্রা কর্পরেল মেমব্রেন অক্সিজেন এর মাধ্যমে অতি সংকটজনক ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন কৃত্রিম উপায়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে প্লাসমা থেরাপিও প্রয়োগ করা হয় ভাস্বর ভট্টাচার্যের দেহে। তবুও শেষ রক্ষা হয় না চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টাকে ব্যর্থ করেই বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় প্রবাদপ্রতিম দন্তচিকিৎসক ভাস্কর ভট্টাচার্য্য এর।
দন্তচিকিৎসক ভাস্বর ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দল-মত নির্বিশেষে সমস্ত চিকিৎসক সংগঠন। কর্মজীবনে বামপন্থী চিকিৎসক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। তবু রাজনৈতিক মতবিরোধ দূরে সরিয়ে ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখার সম্পাদক ডক্টর রাজু বিশ্বাস বলেন, "দন্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভাস্বর ভট্টাচার্যের অবদান অপরিসীম। আমিও তাঁর ছাত্র ছিলাম। উনি যেভাবে আমাদের দাঁতের চিকিৎসা নিয়ে পড়িয়েছেন, তা কোনদিন ভোলার নয়। ওনার মৃত্যু এক গভীর শূন্যতা সৃষ্টি করলো।সর্বত্রই চিকিৎসকরা যেভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে তাতে সাধারণ মানুষের চিকিৎসকদের প্রতি আরো বেশি সংবেদনশীলতা দেখানো উচিত।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: COVID19