#নয়াদিল্লি: গাড়ি চড়ার সঙ্গে আরামের একটা সম্পর্ক আছে। থাকবে না-ই বা কেন? আরাম করে গাড়ি চেপে ঘুরবেন, সেই জন্যই তো কেনা, না কি? তবে সবার কাছে বিষয়টা এক নয়। গাড়ির নানা খুঁটিনাটির সঙ্গে বেশ অভিনব একখানা গাড়ির নম্বরও অনেকের কাছে বেশ আকর্ষণের। আর এই ব্যাপারটাকেই বেশ ভালো ভাবে কাজে লাগিয়েছে দিল্লি সরকার। ২০১৪ সাল থেকে দিল্লি পরিবহন বিভাগ অনলাইনে একটি নিলাম চালিয়ে আসছেন। যেখানে মোটা অঙ্কের টাকা দিলেই আপনি নিজের পছন্দমতো এবং অবশ্যই একটি লাকি নাম্বার পেয়ে যেতে পারেন।
এই বছরে শেষ পাঁচ মাসে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে অগস্টের মধ্যে দিল্লির পরিবহন বিভাগ এই অনলাইন নিলামে হাসতে হাসতে নিজেদের অ্যাকাউন্টে ৯৯ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে! আর সেটাও করেছে এই সব অদ্ভুত গাড়ির নম্বর নিলাম করে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট বলছে যে এই মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে যে নিলাম হয়েছে সেখানে ০০০৯ সিরিজের নাম্বারের দর উঠেছিল ১০.১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত! এর আগে জুলাই মাসে একই সিরিজের জন্য সব চেয়ে বেশি দর উঠেছিল ৭.১ লক্ষ টাকা। এই সিরিজ ছাড়াও ০০০৩ ও ০০৭ সিরিজও বিক্রি হয়েছে ৩.১ লক্ষ টাকায়।
কোভিড অতিমারীর প্রকোপে মোটরশিল্প বেশ বড়সড় একটা ধাক্কা খেয়েছিল। মে মাসের তুলনায় জুলাই মাসে গাড়ির বিক্রি পাঁচ গুণ বেড়ে গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু অগস্ট মাসে এসে সেটা আবার ৩৭% কমে যায়। এত কিছুর পরেও গাড়ির নম্বরের এই নিলাম বেশ সফল হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।
মার্চে দেশ জুড়ে লকডাউনের ফলে এই নিলাম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং তখন এখান থেকে আদায় করা রাজস্বের পরিমাণ ভালই ছিল। এপ্রিলে আবার এই নিলাম চালু হয়। এপ্রিলে ৯০০০ সিরিজের একটি নম্বর বিক্রি হয় ১.৫ লক্ষ টাকায়। আবার মে মাসে এই বিভাগ পাঁচটি অভিনব নম্বর বিক্রি করে আয় করেছিল ৯.৩ লক্ষ টাকা। জুনে ২১.৭ লক্ষ টাকা এবং তার পরের মাসে ৩৩.৮ লক্ষ টাকা আয় হয় পরিবহন বিভাগের।
নিলাম থেকে পাওয়া আয়ের উর্ধ্বমুখী গ্রাফ থেকে এইটুকু আশা করা যাচ্ছে যে ব্যবসাপাতি ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক হচ্ছে। আনলক পর্বে অর্থনীতি এক পা, এক পা করে হলেও এগোচ্ছে এবং গ্রাহকদের চাহিদাও বাড়ছে। আর এর থেকে সব চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে পরিবহন দপ্তর।