হরিদ্বার: প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে খুন! ফোনের সূত্র ধরেই রহস্যের সমাধান করল পুলিশ৷ উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের ঘটনা। সেখানকারই সিডকুল এলাকায় কাজ করতেন হেমেন্দ্র ওরফে সৌরভ৷ গত মার্চ মাস নাগাদ হঠাৎই সিডকুল থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান ওই ব্যক্তি। এরপরে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ৷ শুরু থেকেই পুলিশের রেডারে ছিল নিহতের স্ত্রী রিঙ্কি। কিন্তু, প্রমাণ মিলছিল না কিছুতেই৷ তারপরে, মোবাইলের সূত্র ধরেই ধীরে ধীরে ফাঁস হল রহস্য৷
পুলিশ জানিয়েছে, গত মার্চ মাসে, সন্দেহজনক ভাবেই নিখোঁজ হয়ে যায় হেমেন্দ্র৷ ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে নিখোঁজ ব্যক্তির বাবা মোহর পাল সিডকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷
তদন্তে প্রাথমিক ভাবে নিখোঁজ ব্যক্তির মোবাইলের কল ডিটেইলস ও তাঁর স্ত্রী রিঙ্কি মোবাইলের কল ডিটেলস ঘেঁটে দেখা হয়। কল ডিটেইলস নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে নিখোঁজ হেমেন্দ্রের স্ত্রী রিঙ্কিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে পুলিশ। দেখা যায় অন্য একটি নম্বরে ঘন ঘন কথা বলেছেন হেমেন্দ্রর স্ত্রী। .
কাকে ফোন করতেন রিঙ্কি? দেখা যায়, ওই নম্বরটি রেজিস্টার রয়েছে মোহাম্মদ শারুফের নামে৷ যদিও এই শারুফকেও চিনতে চাননি রিঙ্কি। অন্যদিকে, হেমেন্দ্রের ফোনের টাওয়ার লোকেশান দেখা যায় ভগবানপুর এলাকায় এবং রিঙ্কির ফোনের অবস্থানও ছিল সেখানেই৷ তাই রিঙ্কির উপরেই সন্দেহ নিবিড় হতে থাকে পুলিশের। এরপরে জোরাল জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হলে জেরার মুখে ভোঙে পড়েন রিঙ্কি৷
হরিদ্বারের এসএসপি অজয় সিং জানান, মৃত হেমেন্দ্রের স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক মহম্মদ শারুফ ষড়যন্ত্র করে হেমেন্দ্রকে খুন করেছে। ভগবানপুরেই খাওয়াদাওয়ার একটি আয়োজন করেছিল রিঙ্কুরা৷ সেখানেই রিঙ্কির স্বামী হেমেন্দ্রকে মদ্যপান করানো হয়।
এরপর রিঙ্কি ও শারুফ হেমেন্দ্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ নিকটবর্তী খালে ফেলে দেয়। অভিযুক্তরা পুরো ঘটনাটি বলার পরে, উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের বারগাঁও খাল থেকে হেমেন্দ্রের দেহ উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনায় ব্যবহৃত দড়িটিও পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশ অভিযুক্ত রিঙ্কি ও শারুফের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Uttar Pradesh