#নয়াদিল্লি : রাজ্যে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিদিন তোপ দাগছেন বিজেপি নেতারা। তার মধ্যেই জানা গেল উত্তরপ্রদেশে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বিরাট বড় দুর্নীতি। এখনও পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজারের কাছাকাছি ভুয়ো শিক্ষককে চিহ্নিত করা গিয়েছে। যদিও বিস্তারিত তদন্ত করলে সংখ্যাটা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে তদন্তের নির্দেশ দেয় যোগী প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৪৬১ জন ভুয়ো শিক্ষককে ধরা গিয়েছে। তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি বেতনের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতার বেতনের পুরোটাই পাবেন ববিতা, সঙ্গে চাকরিও! নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি আটকাতে কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। রাজ্য সরকারের মানবসম্পদ পোর্টালে নবনিযুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র এবং বিএড পাশের সার্টিফিকেট ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওয়েবসাইটে শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র আপলোড করার বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরে অনেকেই শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে দেন। পরে তদন্ত করে দেখা গিয়েছে, যাঁরা চাকরি ছেড়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ভুয়ো শিক্ষক।
উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় অনামিকা শুক্লা নামে এক মহিলার শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র দিয়ে বহু মহিলা চাকরিতে ঢুকেছেন বলে জানা গিয়েছে। একাধিক জেলা থেকে এই নামে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অন্যান্য নথিপত্র জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার মহিলাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একইসঙ্গে তাঁদের বেতনের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। তবে তদন্তকারীদের চিন্তা অন্য জায়গায়। তাঁদের বক্তব্য শিক্ষক নিয়োগের সময় সংশ্লিষ্ট কর্ম প্রার্থীর সমস্ত শংসাপত্র নির্দিষ্ট বোর্ডে পাঠিয়ে যাচাই করা হয়। ফলে কীভাবে ভুয়ো নথি দিয়ে তাঁরা চাকরিতে ঢুকলেন তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগকর্তাদের ভূমিকা ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এফআইআর করতে দেরি হওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Uttar Pradesh