#মুম্বই: ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে স্বাভাবিক ভাবেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। পশুপ্রেমীরা তো ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেনই! একই সঙ্গে অন্যরাও স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন যে এই ঘটনা মানবিকতার নিম্নগামিতাকেই প্রকট করে তুলেছে এ দেশে।
জানা গিয়েছে যে সম্প্রতি এ হেন নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের পূর্ব কান্দিভালি এলাকার গ্রিন মিডোজ হাউজিং সোসাইটিতে। খবর মোতাবেকে, ২ জানুয়ারি ওই হাউজিং সোসাইটির এক বাসিন্দা এলাকার মধ্যে একটি সাপকে প্রবল ভাবে নড়াচড়া করতে দেখেন। সে বার বার মাথা ঠুকছিল মাটিতে, এখান থেকে ওখানে আছাড়ি-পিছাড়ি খাচ্ছিল! বৈশালী তনহা নামের ওই মহিলার ঘটনাটা কেমন যেন অস্বাভাবিক ঠেকে! তাই আর দেরি না করে তিনি এক সাপুড়েকে খবর পাঠান সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
যে সাপুড়েকে খবর পাঠানো হয়েছিল, তাঁর নাম মিতা মালবানকর। মিতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তিনি অকুস্থলে পৌঁছে সাপটিকে অস্বাভাবিক রকমের এক আচরণ করতে দেখেন। মিতার দাবি- এর আগেও তিনি অনেক সাপ দেখেছেন, কিন্তু তাদের কেউই এ রকম উন্মাদপ্রায় ছিল না! এর পর মিতা তাঁর বয়ান মোতাবেকে ২.৫ মিটার দীর্ঘ বিষধরটির উদ্ধারকার্যে নামেন। এবং তাকে ধরার পর অবাক হয়ে দেখেন যে সাপের মুখে একটা ব্যবহার করা কন্ডোম পরানো রয়েছে!
মিতা জানিয়েছেন যে সে কারণেই নিশ্বাস নিতে না পেরে সাপটা এ রকম উন্মাদের মতো আচরণ করছিল! মিতা এটাও জানিয়েছেন- যে ব্যক্তি রয়েছেন এই কুকর্মের মূলে, তিনি সাপ ধরায় যথেষ্টই দক্ষ! না হলে সাপের বিষদাঁত এড়িয়ে এই কাজ করা সম্ভব হত না!
খবর বলছে যে এর পর সাপটিকে মুম্বইয়ের বোরিভালির সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পশুচিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করে দেখেন। তাঁরা জানিয়েছেন যে সাপটি নির্জীব হয়ে পড়লেও শারীরিক ভাবে তার কোনও আঘাত লাগেনি। সুস্থ হওয়ার পর তাই তাকে জঙ্গলের গভীরে ছেড়ে দিয়ে আসা হয়েছে।
ঘটনায় একটি অভিযোগও দায়ের হয়েছে পুলিশ স্টেশনে। কে বা কারা এই ঘটনার মূলে থাকতে পারে তার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ!