#ওয়াশিংটন: কৃষি আন্দোলন নিয়ে কোনও সুরাহা মেলেনি এখনও। বরং তীব্রতর হচ্ছে আন্দোলন। সরকার পক্ষ বারবার আইনের সুবিধা বোঝানোর চেষ্টা করেও কৃষকদের মন জয় করতে পারেনি। রাজনৈতিক মুনাফা তুলতে মাঠে নেমে পড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সরকার নিজেদের কড়া মনোভাব অনেকটা নরম করলেও কৃষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। এমন একটা সময় নরেন্দ্র মোদি সরকারের জন্য কিছুটা অক্সিজেন বয়ে আনল আমেরিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ওই মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন আমেরিকা বিশ্বাস করে ভারত সরকার কৃষিক্ষেত্রে যে আইন এনেছে তা কৃষকদের পক্ষে লাভজনক। আখেরে দেশের বাজারই উপকৃত হবে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তাও তৈরি হবে ভারতে।
Recognising that peaceful protests are a hallmark of a thriving democracy, the US said it welcomes steps that would improve the efficiency of India’s markets and attract greater private sector investment. https://t.co/FQhbyWuam9
— News18.com (@news18dotcom) February 4, 2021
এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে জো বাইডেন প্রশাসন সরাসরি স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছে যে তারা মনে করছে ভারত সরকার কৃষিক্ষেত্রে যে সংস্কার এনেছে, তা কৃষকদের স্বার্থেই। যদিও মার্কিন কংগ্রেসে অনেকে এর উল্টো মত পোষণ করেন। এই তালিকায় অন্যতম নাম কমলা হ্যারিসের ভাইঝি মিনা হ্যারিস। তিনি জানিয়েছেন যেভাবে ভারতের কৃষকদের আওয়াজ বন্ধ করতে মোদি সরকার শক্তির প্রয়োগ ঘটিয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। ব্রিটেন অবশ্য সরাসরি মন্তব্য করতে নারাজ। পার্লামেন্টে এই প্রসঙ্গে একটি বিতর্ক সভার আয়োজন করতে চলেছে বরিস জনসন সরকার। সিংহভাগ মতামতের ওপর ভিক্তি করেই নিজেদের মন্তব্য জানাবে ব্রিটেন।
উল্লেখ্য পপ তারকা রিহানা থেকে শুরু করে পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবর্গ, মিয়া খলিফাদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের ক্রীড়াজগৎ থেকে শুরু করে সিনেমা জগৎ গর্জে উঠেছে ভারতের অখণ্ডতা প্রমাণে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (IMF) জানিয়েছিল কৃষিক্ষেত্রে ভারত সরকার যে নতুন আইন এনেছে তা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। তবে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় সকলের কাছে ব্যাপারটা পরিষ্কার করে তুলে ধরাটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Narendra Modi