#উত্তরপ্রদেশ: বহু দিন ধরে গবেষণা করেছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজনের উপরে। কাছ থেকে দেখেছেন তাঁদের বেঁচে থাকার যুদ্ধ, সমস্যা ও নানা সামাজিক বাধা। এবার তাই তাঁদের জন্য কিছু করতে, নিজের সব গয়না বিক্রি করে দিলেন উত্তরপ্রদেশের এক মহিলা। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজনের থাকার জন্য বাড়ি বানাতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাস্তা রাস্তায়, গাড়ির সামনে বা মেট্রো স্টেশনে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন হাত পাতলে এনেকেই এড়িয়ে যান। তাঁরা বাচ্চাদের আশীর্বাদ করতে আসলে অর্থ সাহায্য করতে পিছ-পা হন। কিন্তু কখনও হয় তো ভেবে দেখি না তাঁরা কোথায় যাবেন? তাঁদের মুখে ভাত কী ভাবে জুটবে? তাঁরা কোথায় থাকেন, তা-ও অনেকেরই জানা নেই। সাধারণ মানুষ বাড়ি ভাড়া নিতে এলে অনায়াসেই মেলে ঘর, কিন্তু সত্যিই কি আজও কোনও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে এত সহজেই ঘর দেয় কেউ?
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজনের এই সমস্যা খুব কাছ থেকে দেখা ও তা নিয়ে একাধিক গবেষণার পর নিজে থেকে তাঁদের জন্য ঘর তৈরি করতে চেয়েছিলেন রঞ্জনা আগরওয়াল নামের ওই মহিলা। তিনি দেখেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজনের থাকার জায়গা নিয়েই বেশি সমস্যা, তাই তিনি তাঁর সমস্ত গয়না বিক্রি করে দেন, তাঁদের আশ্রয় দিতে।
জানা গিয়েছে, গয়না বিক্রি করে তিনি ২ লক্ষ টাকা পেয়েছেন, তাই দিয়ে তিনি উত্তরপ্রদেশের খুরজাতে একটি জায়গা কিনেছেন। সেখানেই তৈরি হবে বাড়ি। কিন্তু তিনি নিজে সন্তান ও পরিবারকে নিয়ে থাকেন একটি ভাড়া বাড়িতে।
বুধবার বাড়ির ভিতপুজোও হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় রিপোর্ট বলছে, যে ভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে একসঙ্গে ২০ জন থাকতে পারবে ওই বাড়িতে।
উত্তরপ্রদেশেরই একটি অসরকারি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রঞ্জনা। জানিয়েছেন, তাঁকে আগামিদিনে এই কাজে আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে সেই সংগঠনটি। এই বাড়িটি তৈরি হয়ে গেলে, উত্তরপ্রদেশে এটিই প্রথম বাড়ি হবে যা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজনের জন্য বরাদ্দ থাকবে।
এর আগে গুজরাতের ভদোদরায় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজনের জন্য এমন একটি কমিউনিটি তৈরি হয়েছিল। এবং শুধু উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাতই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই সকল মানুষদের জন্য এমন কমিউনিটি রয়েছে।