#গোরক্ষপুর: স্ট্রবেরি উৎসবের করার পর অন্য ধারার ফল ও সবজি চাষে উৎসাহ দিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল উত্তরপ্রদেশ। কিছুদিন আগেই এই প্রচেষ্টার একটি অঙ্গ হিসেবে গোরখপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে মিষ্টি আলু উৎসব। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেছেন যে এবার একটি ড্রাগন ফ্রুটের উৎসবও পালন করতে হবে। তার সঙ্গে জনতাকে এই ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং ওষুধ হিসেবে এই ফলের গুণও বোঝাতে হবে।
ড্রাগন ফ্রুটকে বলা হয় সুপার ফ্রুট। কারণ এই ফলে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন A, ভিটামিন C, আয়রন এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এটি একটি অত্যন্ত উৎকৃষ্ট মানের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তাছাড়া মধুমেহ বা সুগার নিয়ন্ত্রনেও কাজ দেয় এই ফল। এই ফল খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ারও কোনও আশঙ্কা নেই, কারণ এই ফলে কোনও ফ্যাট থাকে না।
তবে ড্রাগন ফ্রুট উৎসব ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ সরকার এই জাতীয় ফল ও সবজির উৎসবের একটি লম্বা তালিকা তৈরি করে রেখেছে। উত্তরপ্রদেশ একটি বড় রাজ্য, তাই বিভিন্ন উৎসব বিভিন্ন জায়গায় করার পরিকল্পনা আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্রয়াগরাজে গুয়াভা বা পেয়ারা উৎসব, কুশীনগরে কলা বা বানানা উৎসব এবং প্রতাপগড়ে এওনলা বা গুজবেরি উৎসব।
এই প্রত্যেকটি উৎসবই সরকারের ওডিওপি (ODOP) বা ওয়ান ডিসট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট নামক প্রকল্পের অন্তর্গত। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi) তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে স্ট্রবেরি, ড্রাগন ফ্রুট ও মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন।
অনুমান করা হচ্ছে যে যোগী আদিত্যনাথের সরকার ড্রাগন ফ্রুটের উপরে বিশেষ আলোকপাত করছে যাতে রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং চাষিরাও ন্যায্য দামে তাঁদের ফসল বেচতে পারেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন চাষিরা আরও বেশি করে জৈব কৃষি বা অরগ্যানিক ফারমিংকে আপন করে নিক। একবার ড্রাগন ফ্রুট উৎপন্ন হলে সেটা আবার চার বছর পরে ফল দেয়। এই মধ্যকালীন সময়ে চাষিরা ফুলকপি, বেগুন, টম্যাটো ইত্যাদি চাষ করতে পারেন।
মন কি বাত অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী সুলতানপুরের লামভুয়ার গয়াপ্রসাদ সিংয়ের নাম উল্লেখ করেন। উনি বরাবাঁকি ও কুশীনগর অঞ্চলের চাষিদের ড্রাগন ফ্রুট উৎপাদন করায় উৎসাহ দিয়েছেন।