#উত্তরপ্রদেশ: একে করোনা তার মধ্যে বিয়ের আয়োজন। সে কি আর মুখের কথা ! হাজারো বিধি নিষেধ মেনেই বর-কনেকে বসতে হচ্ছে বিয়ের পিঁড়িতে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যদি বিয়ের পিঁড়ি ছেড়ে উঠে আসতে হয়, তবে কার আর মন ঠিক থাকে। তাও কিনা কনে রাজি নন বিয়েতে। শেষ মুহূর্তে বিয়ের পিঁড়ি ছেড়ে থানায় দৌড়াদৌড়ি করতে হল উত্তরপ্রদেশের জামালপুর গ্রামের হবু বরকে।
অর্চনা ও শিবমের বিয়ের পাকা দেখা অনেক দিন আগেই হয়। শিক্ষিত, চাকরিরত ছেলেকে এক কথায় পছন্দ হয় অর্চনার বাবা মায়ের। পাকা দেখার এক মাসের মধ্যেই ঠিক হয় বিয়ের দিন। সেই মতো সগুন, সঙ্গীত সব অনুষ্ঠান পালন করা হয় নিয়ম মেনে। এমনকি বিয়ের আসর তৈরি হয়ে যায়। বর যাত্রীও এসে যায়। কনেও তৈরি নববধূর সাজে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব ভেস্তে গেল। বিয়ে ভাঙলেন কনে। না কোনও অন্য প্রেম নয়। গলত পাওয়া গেল পাত্রর মধ্যেই।
তা বিষয় টা কি ! পাত্র যেদিন বিয়ে করতে আসেন সেদিন প্রথম থেকেই একটা মোটা পাওয়ারের চশমা পরে আসেন। এবং সারাক্ষণ ওই চশমা পরেই থাকেন তিনি। কিছুতেই একবারের জন্যও চশমা খোলেন না। এই দেখেই সন্দেহ হয় কনের। তবে কি হবু বরের চোখ খারাপ? কিন্তু পাকা দেখা থেকে বাকি সব অনুষ্ঠানে তো চোখে চশমা ছিল না। এবার কনে পাত্রকে খবরের কাগজ এনে পড়তে দিলেন। চোখ থেকে চশমাও খুলে নেওয়া হল। পাত্র জানান তিনি চশমা ছাড়া কিছুই চোখে দেখেন না। অন্য দিনগুলিতে তিনি লেন্স পরে এসেছিলেন। ব্যস আর যাবে কোথায় ভেস্তে গেল বিয়ে। চশমা ছাড়া চোখে দেখে না, এমন ছেলেকে কি আর বিয়ে করা যায় !
বিয়েতে দামি আসবাবপত্রের সঙ্গে বাইক পর্যন্ত দেন কনের বাবা। কিন্তু চশমা পরা ছেলেকে বিয়ে করবেন না কনে। অগত্যা বিয়ে ভেঙে যায়। পিঁড়ি থেকে উঠে আসতে হয়। তবে এখানেই শেষ নয়। পাত্র এবং পাত্রপক্ষের নামে থানাতে অভিযোগ জানানো হয়। বলা হয়, চোখে দেখার কথা লুকিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ওই যুবক ও তাঁর পরিবার। চশমা ছাড়া যে কিছুই চোখে দেখে না তাঁকে কিছুতেই বিয়ে করবেন না ওই পাত্রী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bride, Police, Uttar Pradesh