#হরিয়ানা: হরিয়ানার ফতেহাবাদ জেলার ঘটনা। চেকিংয়ের সময়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল বাইক-আরোহী। এমন সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীকেই ধাক্কা মারল বাইক। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন পুলিশকর্মী, আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে ট্র্যাফিক পুলিশকে ধাক্কা মেরেই চম্পট দেয় ওই বাইক-আরোহী। বাইক-আরোহী-সহ দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হরিয়ানার শীর্ষা রোডে তখন চেকিং চলছিল। যাঁরা ট্র্যাফিক নিয়ম ভেঙেছেন, তাঁদের একের পর এক চালান ইস্যু করছিলেন ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা। সেই সময়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। উল্টো দিক থেকে দুই বন্ধুর সঙ্গে বাইকে চড়ে আসছিল অভিযুক্ত। ট্র্যাফিক পুলিশ দেখেই বাইকের গতি বাড়াতে শুরু করে। জরিমানা দেওয়ার ভয়ে শেষমেশ পালানোর চেষ্টা করে। ঠিক সেই সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাইক-আরোহী। বাইক গিয়ে সোজা পুলিশকর্মীকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে জখম হন ওই ট্র্যাফিক পুলিশ। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
তবে এই ঘটনা নতুন নয়। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (National Crime Records Bureau) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে দেশে পথ দুর্ঘটনার ৮৩ শতাংশের পিছনেই রয়েছে ওভারস্পিড ড্রাইভিং। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়ম না মেনে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট তথ্যের সূত্র ধরে খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসনও। বিশেষজ্ঞদের একাংশের কথায়, কোথাও যেন গোড়াতেই ভুল থেকে যাচ্ছে। আসলে প্রশাসনের অন্দরেই খামতি রয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করার সময়ে একাধিক টেস্টের ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ার পিছনে এই অসচেতনতাও অনেকাংশে দায়ী। বিশেষ করে দুই চাকা গাড়ির ক্ষেত্রে এই দুর্ঘটনার সংখ্যা সর্বাধিক।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই মোটর ভেহিকেল রুলস ১৯৮৯-তে সংশোধন এনেছে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রক। এর জেরে যানবাহনের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ই-চালান-সহ সমস্ত কিছুর খতিয়ান রাখা হবে একটি ই-পোর্টালের মাধ্যমে। সেই সূত্রে ট্র্যাফিক পুলিশের নিয়ম-কানুনে আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে। কেউ যদি ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন, তাহলে চালানের পাশপাশি বাতিল হতে পারে চালকের লাইসেন্সও। বলা বাহুল্য, এর মাঝে এই ধরনের দুর্ঘটনা কোথাও যেন পুলিশ-প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলছে।