#প্রয়াগরাজ: লাউডস্পিকারে আজান বন্ধের দাবি জানালেন এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। তাঁর দাবি, ভোরের আজানে তাঁর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ফলে সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করেন তিনি। ইতিমধ্যে জেলাশাসকের কাছে একটি এই ব্যাপারে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ভোরের দিকে লাউডস্পিকার বাজিয়ে আজান দেওয়ার ফলে এলাকা অনেকের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। এমনকী কাজের জায়গায় তাঁর মনোনিবেশেও সমস্যা হয়।
সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব নামের এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জেলাশাসকের কাছে দেওয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ির সামনেই রয়েছে একটি মসজিদ। ভোর সাড়ে পাঁচটায় রোজ লাউডস্পিকারে আজান দেওয়া হয় সেই মসজিদ থেকে। আর তাতেই তাঁর ঘুম ভেঙে যায়।
তিনি দাবি করেছেন, ভোরবেলা আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর তিনি সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করেন। কারণ, তাঁকে সকালে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে হয়। ফলে সারাদিন আর বিশ্রামের সময় পান না। যার ফলে কাজের জায়গায় শারীরিক ক্লান্তির প্রভাব পড়ে।
এর আগেও লকডাউনের সময় আজান বন্ধের দাবিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। তবে সেবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে রায় দেওয়া হয়, আদালত কখনোই মানুষের মৌলিক অধিকারে নাক গলাবে না। ফলে কোনওভাবেই আজান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিল উচ্চ আদালত। এদিন এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর লাউডস্পিকারে আজান বন্ধের ব্যাপারে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন।