#চণ্ডীগড়: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তিত গোটা দেশ। করোনা সংক্রমণ আটকাতে এবং সুরক্ষিত থাকতে ঠিক কী কী করণীয় এখন সেই সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে Network 18 এবং Federal Bank জোট বেঁধে একটি ক্যাম্পেন শুরু করেছে যার নাম সঞ্জীবনী- এ শট অফ লাইফ (Sanjeevani- a shot of life)। সঞ্জীবনীর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই দেশের মানুষ ভ্যাকসিনের মোট ৮ কোটি ৩০ লক্ষ ডোজ পেয়েছেন।
হর্ষ বর্ধন বলছেন, "আমরা ইতিমধ্যেই ৮ কোটি ৩০ লক্ষ ডোজ দিয়েছি। গতকালই ৪৩ লক্ষ ডোজ দেওয়া হয়েছে মাত্র একদিনে। ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেনের জন্য এটা আমাদের কাছে একটা বড় সাফল্য। কোভিড ১৯ এর টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতিটিও সহজ।"
কোভিড ১৯ এর টিকা সম্পর্কে সচেতন করতে এবং ঠিক কী কী কারণে ভ্যাকসিন নেওয়া প্রয়োজন তা বোঝাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে সঞ্জীবনী- এ শট অফ লাইফ এই ক্যাম্পেনটি লঞ্চ করা হয়েছে। ফেডেরাল ব্যাঙ্ক সিএসআর এর উদ্যেোগ প্রথম নেয়। মূলত ভারতের প্রতিটি নাগরিককে যাতে কোভিড টিকাকরণ সম্পর্কে সচেতন করা যায় তা বোঝাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড ভ্যাকসিনকে রামায়ণের সঞ্জীবনীর সঙ্গে তুলনা করেন। রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনেই তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিন পেতেও মানুষকে কোথাও যেতে হবে না। তিনি বলছেন, "আমাদের ভগবান হনুমান দেশের প্রায় অর্ধেক অংশ পার করে হিমালয়ে গিয়েছিলেন সঞ্জীবনী আনতে। কোভিড ভ্যাকসিনও আপনার জীবন বাঁচাকে সঞ্জীবনীর মতোই কাজ করছে। হনুমানজিকে অনেক দূর যেতে হয়েছিল সঞ্জীবনী পেতে। কিন্তু মানুষের জন্য আমরা তাদের কাছাকাছি বিভিন্ন কেন্দ্রে, হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।"
হর্ষবর্ধন টিকাকরণকে জন আন্দোলন বা মানুষের আন্দোলন হিসেবে দেখছেন বলে জানিয়েছেন। ভারতে তৃতীয় দফায় কোভিড টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরেই সঞ্জীবনী ক্যাম্পেন-এর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৪৫ বছরের উপরে যাঁদের বয়স তাঁরা বিনামূল্যে টিকা পাচ্ছেন। পঞ্জাবেপ আট্টারি সীমান্তে এই ইভেন্টের লঞ্চ হল বুধবার। উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা তথা লোকহিতৈষী ব্যক্তিত্ব সোনু সুদ এবং বিএসএফ এর ডিজি রাকেশ আস্থানা।