#নয়া দিল্লি: আর দু'দিন পরই সংসদে বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাজেটে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিবর্তন আসতে পারে বলে আঁচ দিয়েছেন খোদ অর্থমন্ত্রীও। এই পরিস্থিতিতে কী পরিবর্তন হতে পারে, সাধারণ মানুষের কতটা সুবিধা হতে পারে এই বাজেট থেকে, সে নিয়েই আলোচনা চলছে।
২০২০ সালের অর্থনীতি আইনে বেশ কয়েকটি নতুন জিনিস যুক্ত হয়। বেশ কয়েকটি জিনিসের পরিবর্তনও করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স বা DDT। এই DDT-তে ডিভিডেন্ড হল, কোনও সংস্থা তার অংশীদারদের পুরস্কার হিসেবে বা অন্য কোনও কারণে দেওয়া নগদ অর্থ, অংশ বা লভ্যাংশ যা দিচ্ছে তার উপরে কর। সেটাই পরিবর্তন করে নিয়ম আনা হয়- যারা এই অর্থ গ্রহণ করছে অর্থাৎ অংশীদাররা, তাদের কর দিতে হবে। এই পরিবর্তন আসার পরই এর বিরাট প্রভাব পড়ে রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্টের উপরে।
এই বিজনেস ট্রাস্ট ইন্ডাস্ট্রিকে ঠিক রাখার জন্য ২০২০ সালের এই আইনের আগে পর্যন্ত বেশ কিছু ছাড় ও সুবিধে এই ক্ষেত্রে দেওয়া হত। যদিও এই বছর দ্বিতীয় বারের জন্য এই আইনে হয় তো একবার চোখ বুলিয়ে নেবেন অর্থমন্ত্রী, তাও কোন কোন জায়গায় পরিবর্তন করলে এই বিল বিজনেস ইন্ডাস্ট্রিকে সুবিধে দেবে তা দেখে নেওয়া যাক!
এর আগে দেশীয় কোনও সংস্থাকে তার অংশীদারদের টাকা দিতে গেলে ২০.৫৬ শতাংশ পর্যন্ত DDT দিতে হত। এতে লাভ হত অংশীদারদের। এ জাতীয় লভ্যাংশগুলি সাধারণত ব্যবসায় বিজনেস ট্রাস্টে অনাবাসী ইউনিট হোল্ডার-সহ সকল শেয়ারহোল্ডারদের বেশ কিছু ছাড় দিত। আগের নিয়মে, কোনও বিশেষ কাজে গাড়ি বিতরণ করে যদি লভ্যাংশ পাওয়া যেত তা হলে তা পুরোটাই রেখে দিত বিজনেস ট্রাস্ট। এই ক্ষেত্রে DDT থেকে ছাড় মিলত।
কিন্তু ২০২০-র আইনটি আসার পর এই ডিভিডেন্ড আয় পুরোটাই আয় করের অধীনে পড়ে গেল। শুধু বিশেষ কাজে গাড়ি বিতরণের লভ্যাংশে যে কর দিতে হত না সেটা একই থেকে গেল।
২০২০-র আইনটি 80 M আয়কর আইনকেই পুনরায় সামনে এনেছে। যার নিয়ম অনুযায়ী, দেশীয় কোনও কোম্পানি অন্য আরেকটি দেশীয় কোম্পানি থেকে পাওয়া ডিভিডেন্ডে ছাড় পাবে, যদি ওই কোম্পানি নিজের ডিভিডেন্ড অন্য কোনও কোম্পানিকে সময়ের আগে দিয়ে থাকে।
এই সব ক্ষেত্রেই বেশ কিছু পরিবর্তন এনে দেশীয় কোম্পানিগুলিকে বিনিয়োগের দিকে টানতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ।
(বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিবেদনটিতে মতামত দিয়েছেন বিপুল ঝিঙ্গানের ট্যাক্সেশন বিভাগের অংশীদার ও প্রধান এস আর পটনায়ক। মতামত তাঁর ব্যক্তিগত।)