#কলকাতা: করোনার জন্য এবছর পালিত হয়নি বিহু। তাই অসমে এবার দুর্গা পুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। চলতি মাসের শুরুতে এমনই হুমকি দিয়েছে উত্তরপূর্ব ভারতের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন 'সংযুক্ত মুক্তি বাহিনী, অসম'-এর স্বাধীন গোষ্ঠী বা উলফা (স্বাধীন)। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ওই জঙ্গি সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, করোনার আবহের অসমবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থেই তাঁরা চান না এবার দুর্গা পুজো হোক রাজ্যে।
অসমে যদিও প্রধান উৎসব বিহু। তারপরও প্রতিবার দুর্গা পুজো উদযাপিত হয় রাজ্য জুড়ে। হিন্দু বাঙালিদের মূল উৎসবে এখন অসমিয়ারাও অংশ নেন। গুয়াহাটি সহ রাজ্যের প্রায় সব অসমিয়া অধ্যুষিত এলাকায় আয়োজন করা হয় দুর্গা পুজো। বিহুর পর অসমে দুর্গা পুজোই এখন বড় উৎস। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার চৈত্র মাসে সার্বজনীন বিহু উদযাপন বন্ধ ছিল। সেই কারণেই উলফার তরফে জারি করা হয়েছে এই ফতোয়া।
সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ উলফার তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে ওই জঙ্গি সংগঠন দাবি করেছে, অসমে দুর্গাপুজো করার অনুমতি দিতে পারবে না সরকার। অসমবাসীর স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় না রেখে 'অতি হিন্দু' হওয়ার তাগিদে অসম সরকার দুর্গা পুজোর আয়োজনে অনুমতি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উলফার। অসম সরকারকে 'ঔপনিবেশিক ভারত রাষ্ট্রের পুতুল' বলে কটাক্ষ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
শুক্রবার স্বঘোষিত উলফার লেঃ কর্নেল অরুণদোয় অসমের স্বাক্ষরিত বিবৃতিটিতে অসম সরকারের কাছে দাবি করেছেন যে, দুর্গা পুজো আয়োজনের অনুমতি দেওয়া যাবে না। অসমবাসীর স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিন খেলা চলবেনা বলেও তাঁরা হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই বিবৃতির কারণে অসমে বাঙালিদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও কয়েক দশক ধরে স্বাধীন অসমের দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রাম চালাচ্ছে উলফা। তবে এই জঙ্গি সংগঠনের একটি বড় অংশ সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালানোর জন্য যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছে।
কিন্তু উলফার শীর্ষ নেতা পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন স্বাধীন গোষ্ঠী এখনও আলোচনার টেবিলে বসতে নারাজ। দুর্গাপুজো বন্ধের হুমকি এসেছে তাদের পক্ষ থেকেই।