নয়াদিল্লি: লালকেল্লায় তাণ্ডবের জেরে এবার কৃষি আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন কিষাণ মজদুর সংগঠন ও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবেই তারা জানিয়ে দিয়েছেন এই আন্দোলনে আর তাঁরা যুক্ত থাকতে চাইছেন না। সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানী দিল্লি জুড়ে যে তাণ্ডব চলেছে তার ফলশ্রুতিতে এই আন্দোলনের কোমর ভাঙছে বলেই দাবি করছেন পর্যবেক্ষকরা।
এদিন রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংগঠনের নেতা ভিএম সিং বলেন, যারা অন্য রাস্তায় হাঁটছেন, তাদের সঙ্গে আমরা আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে পারব না। পাশাপাশি তিনি জানান, বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাবে তাঁর সংগঠন কিন্তু এই পন্থায় নয়। এমনকি বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী ট্রাক্টরগুলিতে তার বা তার সংগঠনের কোনও সদস্য ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।
লালকেল্লা তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত ৩৭ জন কৃষকনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। এই তালিকায় রয়েছে যোগেন্দ্র যাদব, মেধা পাটেকরদের নাম। গতকালের ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ পুলিশ। এর মধ্যে ১৫৩ জন পুলিশকর্মী হাসপাতালে ভর্তি। এদের মধ্যে দুজন অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় আইসিইউ-তে রয়ছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর গতকাল তাণ্ডব চলাকালে অন্তত ৬টি বাস ও ৫টি পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজনা প্রশমনে গতকালই বহু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। আজ নতুন করে ৩০০টি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত একাংশ আবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আন্দোলনের গতি রোধ করার জন্য বহিরাগত যোগও দেখছেন। লালকেল্লায় নিশান সাহিব ওড়ানো দীপ সাধু সম্পর্কে তাঁদের অভিযোগ এই ব্যক্তি বিজেপি ঘনিষ্ঠ অনেক আগেই ওঁকে আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল।