#তেলেঙ্গানা: হায়দরাবাদের পুরনিগম নির্বাচনে জয়ী TRS ৷ কিন্তু বিজয়ীর হাসি পদ্মশিবিরের মুখে ৷ হায়দরাবাদ দখলে এল না ঠিকই তবে বিন্ধ্য পর্বত পেরিয়ে গেরুয়া হওয়া বইল এবার দক্ষিণেও ৷ হায়দরাবাদের পুরনিগম নির্বাচনের ফলাফল থেকে ২০২৩ সালে তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেল বিজেপি৷ দক্ষিণেও আধিপত্য বিস্তারের প্রথম পদক্ষেপও সম্ভবত পেয়ে গেল গেরুয়া শিবির৷ তবে, রাজনৈতিক মহলের মত, বোর্ড গঠনে কিং মেকার হতে পারে ওয়াইসির মিম।
১৫০ আসনের গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বা GHMC-এ নির্বাচনের ফলে TRS-এর সঙ্গে কাঁটায় কাঁটায় কড়া টক্কর দিল বিজেপি ৷ শেষ পর্যন্ত ৫৫ আসন পেয়ে নির্বাচনে জিতল TRS ৷ মাত্র ১০ আসন দূরে ৪৫-এ আসন দখলের দৌড় শেষ করল ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরীক্ষায় পাশ করলেও ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে ব্যর্থ কেসিআর-এর দল ৷ তাই পুরবোর্ড গড়তে ওয়েসির দলের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে কেসিআর ৷ আসাউদ্দিন ওয়েসির AIMIM পেয়েছে ৪৪টি আসন ৷ আসন দখলে কংগ্রেস চতুর্থস্থানে ৷ পেয়েছে মোটে দুটি আসন ৷
হায়দরাবাদ পুরনিগম দখলের লক্ষ্যে এ বার সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি৷ প্রচারে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে৷ এ ছাড়াও দলের হেভিওয়েট মন্ত্রী সাংসদরাও প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন৷ এমন কি, ভোট প্রচারে রোহিঙ্গা, পাক অনুপ্রবেশকারীর মতো বিতর্কিত বিষয় তুলে এনেছিলেন তারা৷
এর পিছনে অবশ্য বিজেপি-র স্পষ্ট অঙ্ক ছিল৷ আঞ্চলিক দলগুলির উপরে নির্ভরতা দূর করে দক্ষিণেও নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে মরিয়া মোদি-শাহ-নাড্ডারা৷ ২০২৩ সালে তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে হায়দরাবাদের পুরভোটকেই মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা৷ কারণ হায়দরাবাদ পুরনিগমের এলাকার মধ্যে তেলেঙ্গানার ২৫টি বিধানসভা এবং পাঁচটি লোকসভা এলাকা পড়ে৷ ফলে হায়দরাবাদ পুরনিগম দখল করতে না পারলেও একেবারে িবজেপি-র প্রাপ্তির ভাঁড়ার যথেষ্টই৷ ২০১৬ সালের পুর নির্বাচনে মাত্র চারটি ওয়ার্ডে জিতেছিল বিজেপি৷ সেখানে এখনই তারা ৪০টি আসনে এগিয়ে৷ সেখানে টিআরএস গত নির্বাচনে পেয়েছিল ৯৯টি আসন৷