ত্রিপুরা: ‘‘অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে সিন্ডিকেট রাজনীতির সংস্কৃতি রয়েছে কংগ্রেস-সিপিএমের। বিজেপির নীতি-আদর্শে এই সংস্কৃতি নেই। এখনও যারা এইরকম চিন্তাভাবনা করছেন, তাঁদের এসব থেকে সরে আসতে হবে।’’ উদয়পুর টাউন হলে ভারতীয় জনতা পার্টির গোমতী জেলা ভিত্তিক সাংগঠনিক বৈঠকে বক্তৃতা করতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
তিনি বলেন, ‘‘সংগঠনের সহযোগিতায় রাজ্যের বর্তমান সরকার গোটা দেশে ত্রিপুরাকে এক মডেল রাজ্য হিসেবে তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে। তাই সাংগঠনিকভাবেও গোটা দেশে যাতে ত্রিপুরা মডেল রাজ্য হতে পারে সেই লক্ষ্যেও দলের সমস্ত কার্যকর্তাকে কাজ করে যেতে হবে। এক্ষেত্রে, গোমতী জেলার কার্যকর্তাদের উদ্বুদ্ধ করে তিনি বলেন, আপনাদের এমন কাজ করতে হবে যাতে এই জেলাকে সবাই মডেল হিসেবে ধরে নিয়ে কাজ করার প্রেরণা পায় । বুথে বুথে যাঁদের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।’’
আরও পড়ুন:তিল তিল করে শক্তি বাড়াচ্ছে মোকা! চলতি সপ্তাহের শেষেই উথালপাতাল সমুদ্র, তুমুল ঝড়বৃষ্টি
২০১৮ নির্বাচনের আগে শক্তিশালী বুথ কীভাবে তৈরি করা যায়, এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীমানিক সাহা নিজেও সক্রিয় হয়েছিলেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। সেই অভিজ্ঞতার কথাই এদিন সবার কাছে তুলে ধরেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কমিউনিস্টদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেই মানুষ বিজেপিতে শামিল হয়েছে। তাই মানুষকে সম্মান দিয়ে আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে কমিউনিস্টদের আচার-আচরণের কথাও তুলে ধরেন । তিনি বলেন, ‘‘তাঁদের কাছ থেকেও কিছুটা শেখার রয়েছে। গত পাঁচ বছর কোথাও তাঁদের দেখা যায়নি । তারপরেও নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে তাঁরা বললো, ১৬ তারিখ ভোটের দিন সবাইকে সকাল সকাল ভোটের লাইনে দাঁড়াতে হবে। তাঁদের এক কথাতেই দলে কতটুকু প্রভাব পড়েছিল তা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।
গত নির্বাচনে গোমতী জেলায় ফলাফলের বিষয় উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে আসনগুলোতে আমরা জয়লাভ করেছি তাতে কার্যকর্তাদের ভূমিকা প্রশংসনীয় ছিল। যে আসনগুলোতে জয়ী হওয়া সম্ভব হয়নি, তাতে কারা দলে থেকেও ষড়যন্ত্র করেছিল, তাঁদের সবার তালিকা তৈরি হয়ে গেছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘দলের কার্যকর্তাদের এমনটা ভাবলে হবেনা, আমাকে ছাড়া ত্রিপুরা চলবে না । তাহলে আমরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছি। তিনি কিছু কিছু পুরনো কার্যকর্তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বুথ স্বশক্তি করনে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরামর্শ দেন।’’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পশ্চিম জেলার পরেই সবদিক দিয়ে উৎকৃষ্ট মানের জেলা গোমতী। ইতিমধ্যে প্রায় ৩২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই জেলায়। রূপওয়ে তৈরি হচ্ছে। আরো কাজ হবে। বোধজংনগরে শিল্প ক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে এই শিল্প নগরীর চেহারা পাল্টে গেছে। রাবার এবং বাঁশ ভিত্তিক নিত্যনতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে এখানে। প্রধানমন্ত্রীর শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়ার’ মাধ্যমে ত্রিপুরা এগিয়ে চলছে।’’
আরও পড়ুন:অবশেষে কাটল জট, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য বিরাট সুখবর! স্বস্তি মানুষের..
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দলের কার্যকর্তাদের মনে রাখতে হবে সবাই সব পদ পাবে, এমনটা হতে পারে না। নিজেদের স্বার্থ ভুলে জনগণের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। তাহলেই ২০২৪ এর নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে ত্রিপুরার দুটো আসন আমরা উপহার দিতে পারব।’’
এদিনের সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, জিতেন্দ্র মজুমদার, বিজেপি গোমতী জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অভিষেক দেবরায় সহ অন্যান্যরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Manik Saha, Tripura